শামীমের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি

Shamim Hossain
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/ স্টার

প্রথম দুই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তুলেছিল বাংলাদেশ। এদিন টস জিতে একই তরিকা নেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। তবে এবার অভিপ্রায় একই থাকলেও প্রয়োগে হলো গোলমাল। আগ্রাসী খেলার অ্যাপ্রোচ নিয়ে ৬১ রানেই পড়ে গেল ৭ উইকেট। দলের চরম বিপদে পরে হাল ধরলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তার ব্যাটে মিলল লড়াইয়ের পুঁজি।

শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আগে ব্যাট করে  ১২৪  রান করেছে বাংলাদেশের।  ৫১  রানই এসেছে শামীমের ব্যাটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ফিফটির দিনে দলের চাপে নেমে ৪২ বল খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। 

নেমেই প্রথম বলেই বাউন্ডারি মেরেছিলেন লিটন দাস। শুরুতে বাউন্ডারি পেয়ে গিয়েছিলেন রনি তালুকদারও। আগের দুই ম্যাচের ঝড়ের ধারাবাহিকতার আভাস ছিল। প্রথম ওভারে ৯ রান আসার পর এবার হলো ভিন্নতা।

মার্ক অ্যাডায়ারকে স্ল্যাশ করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এই সিরিজে নিষ্প্রভ। ৪ রান করে হ্যারি টেক্টরকে স্লগ সুইপ করে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে তিনি দেন ক্যাচ।  রনিও পারেননি এবার। ৩ চারে ১০ বলে ১৪ করা ওপেনারও ধরা দেন বাউন্ডারি লাইনে।

অ্যাডায়ার তার মিডিয়াম পেসে কাবু করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। লেগ স্পিনার বেন হোয়াইটের বলে তুলে মারতে গিয়ে আকাশে উঠিয়ে দেন তাওহিদ হৃদয়। ৪১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।

মেহেদী হাসান মিরাজকে না রাখায় এদিন একাদশে ব্যাটার একজন কম ছিল বাংলাদেশের। অভিষিক্ত রিশাদ হোসেন নামেন সাতে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম স্কোরিং শটে ছক্কা পেয়ে গিয়েছিলেন রিশাদ। টিকতে পারেননি, অভিষিক্ত বাঁহাতি স্পিনার ম্যাথু হ্যামফ্রিসের প্রথম বলেই স্লগ করতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হয়ে যান তিনি। 

ওই ওভারে হ্যামফ্রিসের শিকার হয়েছেন তাসকিনও। তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা দেন তিনি। ৬১ রানে পড়ে যায় ৭ উইকেট।  ৮ম উইকেটে গিয়ে ইনিংসের সেরা জুটি পায় বাংলাদেশ। দলের বিপদে ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়ে যান শামীম। নাসুম আহমেদকে নিয়ে তিনি গড়েন প্রতিরোধ। থিতু হয়ে চালাতে থাকেন তিনি। নাসুম তাকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন। গ্যারেথ ডেলানির অনেক বাইরের বল কাভার দিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফেরেন নাসুম, ভাঙে ৩৪ বলে ৩৩ রানের জুটি। নাসুমের পর শরিফুল ইসলাম ফিরে যান তড়িঘড়ি।

একদম শেষ উইকেটে হাসান মাহমুদকে এক পাশে রেখেও চালাতে থাকেন শামীম। ৪০ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি। দশম উইকেটে ১৫ বলে যোগ হয় আরও ২০ রান। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছেন শামীমই। ২০তম ওভারে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে ৫ চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ২ ছক্কা।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

7h ago