রনি-লিটনের ঝড়ে বাংলাদেশের দুইশো ছাড়ানো পুঁজি

Rony Talukdar
ফিফটির পথে রনি তালুকদারের শট। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে ওপেন করতে নেমে বিস্ফোরক হয়ে উঠল লিটন দাস ও রনি তালুকদারের ব্যাট। বাংলাদেশের দুই ওপেনার চার-ছক্কার তাণ্ডবে পাওয়ার প্লেতে গড়লেন নিজেদের নতুন রেকর্ড। লিটন থামলেও রনি তুলে নেন ফিফটি। পরে শামীম হোসেন পাটোয়ারি, সাকিব আল হাসানদের ছোট্ট অবদানে দুইশো ছাড়িয়ে যায় দলের রান।

সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের ইনিংসে ১৯.২ ওভার হওয়ার পর বৃষ্টি নামে। ততক্ষণে স্বাগতিকদের পুঁজি ৫ উইকেটে ২০৭ রান। ইনিংসের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় আর ব্যাট করতে নামার পরিস্থিতি নেই বাংলাদেশের। ডিএলএস মেথডে নির্ধারণ হবে আয়ারল্যান্ডের লক্ষ্য।  

এদিন বাংলাদেশকে বড় পুঁজি এনে দিতে দলের হয়ে ৩৮ বলে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন রনি। ২৩ বলের উপস্থিতিতে ৪৭ করে যান লিটন।

চট্টগ্রামে ধবধবে উইকেট যেন ব্যাটারদের আহবান করছিল রান করার। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তাণ্ডব বইয়ে দেন লিটন-রনি। চার-ছক্কার বৃষ্টিতে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তুলে নতুন রেকর্ড গড়ে ফেলেন তারা।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ার প্লেতে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এর আগে ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৪ উইকেটে ৭৬ তুলেছিল বাংলাদেশ।

Litton Das
ছবি: ফিরোজ আহমেদ/ স্টার

ডাউন দ্য উইকেটে এসে উড়িয়ে ছয়, পুল করে ছয়, ফ্লিক করে বাউন্ডারি। লিটন মেরে ধরেছিলেন শটের পসরা। সঙ্গী রনিও শুরু থেকেই ছিলেন তেতে। পুল করে সফলতা পেয়েছেন তিনিও। স্ট্রেট ড্রাইভগুলো বরাবরের মতোই দেখার মতো ছিল তার।

পাওয়ার প্লের পর পর অবশ্য থেমে যান লিটন। ক্রেইগ ইয়ংয়ের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে ৮ম ওভারে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ২৩ বলে ৪ বাউন্ডারি, ৩ ছক্কায় ৪৭ করে থামেন তিনি। ভাঙে ৪৩ বলে ৯১ রানের উদ্বোধনী জুটি।

রনি ধরে রাখেন রানের ধারা। ২৪ বলে বাউন্ডারি মেরে স্পর্শ করেন নিজের প্রথম ফিফটি। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৯ বলে আরও ২৭ রান যোগ করেন তিনি।

হ্যারি টেক্টরের বলে এগিয়ে এসে মারতে কাটা পড়েন শান্ত। ছন্দে থাকা বাঁহাতি ব্যাটার এদিন থামেন ১৩ বলে ১৪ রানে। চারে নামিয়ে দেওয়া হয় শামীম হোসেন পাটোয়ারিকে। তিনি নেমেই বাজে বলের উত্তম ব্যবহার করতে থাকেন। পাওয়ার প্লের পর কিছুটা স্লো হয়ে গেলেও রনিও সাবলীলভাবেই ছুটছিলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ২২ বলে যোগ হয় আরও ৩৬ রান।

গ্রাহাম হিউমের বলে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে থামেন রনি। ৩৮ বলের ইনিংসে ৭ চার, ৩ ছক্কায় ৬৭ করেন তিনি। শামীম ঝড় জারি রাখার চেষ্টা করছিলেন। তবে স্লগ ওভারে তার আউটটা বড় অসময়ে। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে ব্যাকফুটে গিয়ে উড়াতে চেয়েছিলেন, টাইমিং হয়নি। ২০ বলে ৩০ করে ফিরে যান তিনি।

তাওহিদ হৃদয় নেমে খুব বেশি স্ট্রাইক পাচ্ছিলেন না। ডানা মেলতেই তাকে থামান ইয়ং। অধিনায়ক সাকিব ১৩ বলে অপরাজিত থাকেন ২০ রানে।

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

8h ago