সাকিবের মতো সিনিয়রের ‘মেন্টাল এরর’ মানতে পারছেন না সিডন্স
লাঞ্চ বিরতির পর ঠিক প্রথম বল। উমেশ যাদবের নির্বিষ লেংথ বলটি মিড অফের উপর দিয়ে মারতে চাইলেন সাকিব আল হাসান। টাইমিং হলো না ঠিকমতো, একদম লোপ্পা ক্যাচ হাতে নিলেন চেতেশ্বর পূজারা। এভাবে কেউ উইকেট বিলিয়ে দিতে পারে ভেবে হয়ত বোলারের চোখেও বিস্ময়ের ঘোর! আউট হয়ে কয়েক সেকেন্ড ঠায় দাঁড়িয়ে নিজেও অবাক হলেন সাকিব। তার এই ভুলে বাংলাদেশের যা ক্ষতি হওয়ায় হয়েই গেল। দিনের খেলা শেষে ব্যাটিং কোচ এই দৃশ্যকে আখ্যা দিলেন, 'মেন্টাল এরর' হিসেবে।
বৃহস্পতিবার মিরপুর টেস্টের প্রথমদিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ টস ভাগ্য পক্ষে এসেছিল বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে যে বোলারের বিপক্ষে সবচেয় ভুগেছেন ব্যাটাররা সেই বাঁহাতি স্পিনার কুলদীপ যাদবকে বিস্ময়করভাবে একাদশে রাখেনি ভারত। দিনটা একদম নিজেদের করে নেওয়ার সুযোগ তাই ছিল স্বাগতিকদের। অথচ শেষ সেশনে তারা গুটিয়ে গেছেন ২২৭ রানে। শেষ বিকেলে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ১৯ রান তুলেছে সফরকারীরা। এই অবস্থায় অন্তত এখন পর্যন্ত ভারতই স্পষ্ট এগিয়ে।
এদিন চ্যালেঞ্জিং উইকেটে বাংলাদেশের ইনিংসে ভালো বলে যেমন উইকেট পড়েছে, উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ার ঘটনাও ছিল। আর সেটা শুরু করেন অধিনায়ক সাকিবই। নিজের সিদ্ধান্ত চার নম্বরে নেমেছিলেন। ৩৯ বল খেলে বাংলাদেশ অধিনায়ক ১ চার, ১ ছক্কায় করেন ১৬ রান। স্বল্প উপস্থিতিতে তাকে দেখা গেছে ছটফট করতে। যেভাবে আউট হয়েছে তার ব্যাখ্যা দাঁড় করানো কঠিন।
ব্যাটিং কোচ সিডন্স বিষাদগ্রস্ত চেহারায় জানালেন হতাশা, প্রতিক্রিয়ায় বোঝালেন এমন দৃশ্য তার পক্ষে মেনে নেওয়া ছিল কঠিন, 'সিনিয়র খেলোয়াড়দের এরকম মেন্টাল এরর দেখা খুব হতাশাজনক। সে স্পিনার ও পেস বোলারদের বিপক্ষে এগিয়ে গিয়ে খেলছিল লেংথ বদল করার জন্য। সে তাদের লেংথ নিয়ে ভীত ছিল, কাজেই সেসব বদল করতে চাইছিল। লাঞ্চের পর এসে বোলাররা কিছুটা আড়ষ্ট থাকে। সে ক্রিজে থাকলে বাজে বল পেত। এটা তার সিদ্ধান্ত (অমন শট খেলা)। কোন খেলোয়াড়কে এরকম ভুল করতে দেখা হতাশাজনক।'
চট্টগ্রাম টেস্টে চার নম্বরে খেলতে নেমেছিল লিটন দাস। এই টেস্টেও একই ব্যাটিং অর্ডার দেখার কথা ছিল। কিন্তু সাকিব নিজেই সেটা উলট পালট করে ফেলেন। সব সময়ই ডান-বাম সমন্বয় নিয়ে উচ্চকিত থাকা বাংলাদেশ দলের প্রথম চার ব্যাটারই কিনা এদিন বাঁহাতি! সিডন্স জানালেন সাকিব একাই নিয়েছেন এসব সিদ্ধান্ত, 'সাকিবই আসলে যেতে চেয়েছিল (চার নম্বরে)। সে মনে করছিল সে ছন্দে আছে। সে চাইছিল সবাইকেই নিচে নামিয়ে উপরে নামতে। সে দ্রুত উইকেট পতন আটকাতে চাইছিল। আমার মনে হয় অধিনায়কের এমন হওয়া ভালো। যদিও এটা আমাদের কাজে লাগেনি।'
Comments