বুমরাহর মনে হচ্ছে, তিনি স্বপ্নে বাস করছেন

Jasprit Bumrah

জাসপ্রিত বুমরাহর উপর যতটি বাউন্ডারির মার পড়েছে, তার থেকে বেশি উইকেট আদায় করে নিয়েছেন তিনি। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য এই ঘটনাই ঘটেছে। ভারতের গতিতারকা ১৫ উইকেট শিকার করেছেন। পুরো টুর্নামেন্টে হজম করেছেন মাত্র ১২টি বাউন্ডারি। দুর্দান্ত বোলিং করা বুমরাহ প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে পেয়েছেন অগণিত ভালোবাসা। বিশ্বজয়ের সপ্তাহখানেক পরে জানালেন, তার মনে হচ্ছে স্বপ্নে বাস করছেন।

বুমরাহকে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য খেতাব দেওয়ার প্রস্তাব পর্যন্ত করা হয়েছিল। বিরাট কোহলি বিশ্বকাপ জয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তখন সেটিতে সম্মতি দিতে সময় নেননি একটুও। এতসব ভালোবাসা পেয়ে সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে বুমরাহ লিখেছেন, 'আমি শেষ কদিনের জন্য অনেক কৃতজ্ঞ। আমি স্বপ্নে বাস করছি এবং এটি আমাকে সুখ ও কৃতজ্ঞতায় পূর্ণ করেছে।'

গত সপ্তাহে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলকে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয় ভারত। সেখানে কিংবদন্তি কোহলি নিজ থেকে বুমরাহর জন্য হাততালি দিতে অনুরোধ করেন উপস্থিত দর্শকদের। কানায় কানায় পূর্ণ স্টেডিয়ামের সামনে বুমরাহকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, 'তার মতো বোলার কোনো প্রজন্মে একবারই আসে।'

মাঠেও তো আদতে স্বপ্নের মতো সময়ই পার করেছেন ডানহাতি এই পেসার। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাত্র ৪.১৭ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন। কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের এক আসরে এত কম ইকোনমিতে আর কেউ বোলিং করতে পারেননি (কমপক্ষে যারা পাঁচ ইনিংসে বোলিং করেছেন)। এর আগে ২০২৪ আইপিএলের রানের বন্যা ছুটেছে। কিন্তু বুমরাহ ছিলেন সবার থেকে আলাদা।

টুর্নামেন্টে রান এসেছে ওভারপ্রতি নয়ের বেশি করে। সেখানে বুমরাহর ইকোনমি ছিল মাত্র ৬.৪৮। নিঃসন্দেহে সবশেষ আইপিএলের সবচেয়ে ইকোনমিকাল বোলার ছিলেন তিনিই (অন্তত দুই ম্যাচ খেলা বোলারদের মধ্যে)। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চোটে পড়ে বাইরে বসে দেখেছিলেন। দুই বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে আয়োজিত বৈশ্বিক আসরে পুষিয়ে দিয়েছেন ভালোমতো। টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে ভারতকে টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জেতাতে রেখেছেন অন্যতম অবদান।  

Comments

The Daily Star  | English

Kamal Hossain urges vigilance against obstacles to nation-building effort

"The main goal of the freedom — gained through the great Liberation War — was to establish democracy, justice, human rights and build a society free from exploitation. But we have failed to achieve that in the last 54 years," says Dr Kamal

41m ago