নাইবের অভিনয়ে প্রাণখুলে হাসির পর বাংলাদেশের হারে মার্শরা হয়েছেন হতাশ
আগেরদিন 'কাম অন বাংলাদেশ' বলে টাইগারদের সমর্থন জানিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল মার্শ। এরপর পুরো দল মিলে বাংলাদেশের জয় দেখতে মরিয়া হয়ে বসে ছিলেন মঙ্গলবার। ১২তম ওভারে গুলবদিন নাইবের চোট-কাণ্ডে প্রাণখুলে হেসেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক। কিন্তু ১৮তম ওভারে যখন নাজমুল হাসান শান্তর দলের পরাজয় নিশ্চিত হলো, অস্ট্রেলিয়া দলের সবাই নাকি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন।
প্রথমবার বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করা মার্শ জানিয়েছেন, 'আমরা সবাই মিলে দেখেছি খেলা। এটা অবশ্যই একটা অসাধারণ ম্যাচ ছিল, তাই না? অনেকবার খেলার মোড় ঘুরেছে। আমরা সবাই হতাশ হয়ে পড়ি(যখন বাংলাদেশের শেষ উইকেট পড়ে গেল)। আমরা মরিয়া ছিলাম এই টুর্নামেন্টে চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু আফগানিস্তান আমাদের হারিয়েছে, তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে এবং সেমিফাইনালে যাওয়ার যোগ্য।'
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে মার্শ আরও বলেছেন, 'অবশ্যই আপনি এই টুর্নামেন্টে খেলে যেতে চান এবং আমাদের একমাত্র উপায় ছিল সেটি (বাংলাদেশের জেতা)। কিন্তু এটা আমাদের একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল এবং এর দায় শুধু আমাদের উপরই বর্তায়।'
অপরাজিত থেকে সুপার এইটে পা রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ভারত ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই হারে তাদের তাকিয়ে থাকতে হয়েছে বাংলাদেশের দিকে। নাজমুল হোসেন শান্তরা আফগানদের হারিয়ে দিতে পারলেই সেমির টিকিট কাটা হয়ে যেত মার্শের অস্ট্রেলিয়ার। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ ৮ রানে হেরে যাওয়ায় তা হয়নি।
তবে সেন্ট ভিনসেন্টের ম্যাচটিতে হাস্যরসের জন্ম দিয়েছিলেন আফগানিস্তানের নাইব। ১২তম ওভারে তাদের কোচ জোনাথন ট্রট বাইরে থেকে বলতে থাকেন 'স্লো ডাউন'। ইংলিশ এই কোচের খেলার গতি কমানোর কথা শুনেই হুট করে মাটিতে শুয়ে পড়েন নাইব। পায়ে ব্যাথার অঙ্গভঙ্গি করেন এই অলরাউন্ডার। বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে সেসময়, আর তখন ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ২ রানে।
এই কাণ্ড নিয়ে পরে সাবেক অনেক ক্রিকেটার সমালোচনাও করেছেন। তবে দৃশ্যটি উপভোগ করেছেন মার্শ, 'হাসতে হাসতে আমার চোখে প্রায় জল এসে যাচ্ছিল। দিনশেষে এটি ম্যাচে কোনো তাৎপর্য রাখেনি। তো আমরা এটা নিয়ে এখন হাসতে পারি কিন্তু এটা হাস্যকর ছিল। এটা অসাধারণ ছিল।'
Comments