টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে বাংলাদেশকে টিকিয়ে রাখল আফগানিস্তান

Gulbadin Naib

সেন্ট ভিনসেন্টের অননুমেয় উইকেটে যেন যেকোনো কিছুই হতে পারে। হলোও তাই। দারুণ উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরানের দুই ফিফটিতে দেড়শোর কাছে পুঁজি পায় তারা। পরে গুলবদিন নাইবের দারুণ বোলিং-ফিল্ডিংয়ে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝলক থামিয়ে স্মরণীয় জয় তুলে নেয় রশিদ খানের দল।

সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নোস ভেল মাঠে সুপার এইটের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ২১ রানে হারিয়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে গুরবাজের ৪৯ বলে ৬০ ও ইব্রাহিমের ৪৮ বলে ৫১ রানে ১৪৮ রান করে আফগানিস্তান। রান তাড়ায় ম্যাক্সয়েল ৪১ বলে ৫৯ করলেও বাকিদের ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়া থেমে যায় ১২৭ রানে। বোলিংয়ে আফগানদের নায়ক গুলবদিন। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে তিনি নেন ৪ উইকেট। দারুণ দুই ক্যাচও হাতে জমান এই অলরাউন্ডার। এটাই যেকোনো সংস্করণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আফগানিস্তানের প্রথম জয়। 

এই জয়ে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকল আফগানিস্তান। এমনকি বড় দুই হারের পরও সমীকরণে বিশ্বকাপে টিকে রইল বাংলাদেশ। এখন ভারতের কাছে যদি অস্ট্রেলিয়া হেরে যায় আর আফগানিস্তানকে যদি বড় ব্যবধানে হারাতে পারে বাংলাদেশ, সেমিতে যাওয়ার সম্ভব নাজমুল হোসেন শান্তদেরও।

ট্রিকি রান তাড়ায় নেমে তৃতীয় বলেই ট্রেভিস হেডকে তুলে নেন নাবিন উল হক। স্লোয়ার বলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন অজি ওপেনার। তৃতীয় ওভারে নাবিনের শিকার অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ৯ বলে ২ চারে ১৩ করে তিনি সোজা তুলে দেন ক্যাচ।  এসব উইকেটে যার উপর সবচেয়ে বড় ভরসা অস্ট্রেলিয়ার সেই ডেভিড ওয়ার্নারও বিদায় নেন পাওয়ার প্লের মধ্যে। ৮ বলে ৩ রান করে তিনি শিকার মোহাম্মদ নবির। 

এরপর মার্কাস স্টয়নিসকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন ম্যাক্সওয়েল। ম্যাচেও কিছুটা ফেরে অজিরা। দুজনের জুটিত ৩৯ রানের বেশিরভাগটাই আনেন ম্যাক্সওয়েল। গুলবদিনের আচমকা লাফানো বলে পুল করে ক্যাচ দেন তিনি। পরে টিকেননি টিম ডেভিডও। নাইবের ভেতরে ঢোকা বলেই এলবিডব্লিউতে বিদায় তার। 

ম্যাক্সওয়েল তবু ধরে রাখেন হাল। ৩৫ বলে স্পর্শ করেন ফিফটি। ম্যাথু ওয়েডকে নিয়েও এগুচ্ছিলেন অজি ব্যাটার। তবে কাজ শেষ না করে তারও বিদায়। তাকেও ফেরান গুলবদিন। মারতে গিয়ে আউটসাইড এজড হয়ে পয়েন্টে  ক্যাচ দেন ৪১ বলে ৫৯ করে ম্যাক্সওয়েল। রশিদ খান পরের ওভারেই শিকার ধরেন ম্যাথু ওয়েডকে। সুইপ করতে গিয়ে ক্যাচ উঠিয়ে অজিদের বিপদ বাড়িয়ে যান তিনি। পরে কামিন্সকে বোল্ড করে চতুর্থ শিকার ধরেন কামিন্স। অ্যাস্টন অ্যাগার, অ্যাডাম জাম্পারা কঠিন সমীকরণ আর মেলাতে পারেননি। 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টের সফল ওপেনিং জুটির ঝলক দেখানো গুরবাজ-ইব্রাহিম আবার দাঁড়িয়ে যান। 

আর্নোস ভেল স্টেডিয়ামের কঠিন উইকেটে তারা মিলে পার করে দেন ১৫ ওভারের বেশি। স্কোরবোর্ডে রান তখন ১১৮। ১৬তম ওভারে গুরবাজের আউটে ভাঙ্গে এই জুটি। ৪৯ বলে গুরুত্বপূর্ণ ৬০ রানের ইনিংস খেলে স্টয়নিসের শিকার হন তিনি। এরপরই অবশ্য পড়তে থাকে একের পর এক উইকেট। ইব্রাহিমকে তুলে নেন অ্যাডাম জাম্পা। কামিন্স করে নেন হ্যাটট্রিক। তবু করিম জানাত ৯ বলে ১৩ ও মোহাম্মদ নবির ৪ বলে ১০ রানে দেড়শোর কাছে চলে যায় আফগানরা।  উইকেটের ধরণের কারণে  ওই রান যে অনেক চ্যালেঞ্জিং তখনই টের পাওয়া যাচ্ছিলো।
 

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

16h ago