বিফলে গাউসের লড়াই, জয়ে সুপার এইটে যাত্রা শুরু দক্ষিণ আফ্রিকার
কুইন্টন ডি ককের ঝড়ের সঙ্গে এইডেন মার্করাম ও হাইনরিখ ক্লাসেনের কার্যকর ব্যাটিংয়ে বড় পুঁজি পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নামা যুক্তরাষ্ট্র ৭৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর হারমিত সিংকে নিয়ে আনড্রিস গাউস চালালেন লড়াই। কিন্তু অবিশ্বাস্য এক জয় পাওয়ার স্বপ্ন কিছুক্ষণের জন্য দেখা দিলেও লক্ষ্য থেকে দূরেই থামতে হলো যুক্তরাষ্ট্রকে।
অ্যান্টিগায় বুধবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের গ্রুপ দুইয়ের ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে ১৮ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে ১৯৪ রানের পর আমেরিকানরা পুরো ওভার খেলে ৬ উইকেটে ১৭৬ রান করে।
আসরের প্রথম চার ম্যাচে নিষ্প্রভ থাকা ওপেনার ডি ককের ব্যাট অবশেষে হয়ে ওঠে উত্তাল। তিনি ৫ ছক্কা ও ৭ চার ৪০ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলেন। ১৮৫ স্ট্রাইক রেটের বিস্ফোরক ইনিংসে ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে তার হাতেই। অধিনায়ক মার্করাম ৩২ বলে ৪৬ রান ও ক্লাসেন ২২ বলে অপরাজিত ৩৬ রানের ইনিংস খেলেন।
লক্ষ্য তাড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৪৭ বলে অপরাজিত ৮০ রান করেন গাউস। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে তিনি ৫ চারের সঙ্গে হাঁকান ৫ ছক্কাও। হারমিত সাজঘরে ফেরার আগে খেলেন ২২ বলে ৩৮ রানের ইনিংস।
ষষ্ঠ উইকেটে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ৪৩ বলে ৯১ রানের রেকর্ড জুটি গড়েন গাউস ও সাতে নামা হারমিত। বাঁহাতি স্পিনার তাবরাইজ শামসির করা ১৮তম ওভারে দুজন মিলে ৩ ছক্কায় ২২ রান আনলে জয়ের সমীকরণ নেমে আসে দুই ওভারে ২৮ রানে। কিন্তু কাগিসো রাবাদা ও আনরিখ নরকিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ের বিপরীতে উপায় খুঁজে পায়নি তারা।
১৯তম ওভারের প্রথম বলে হারমিতকে সাজঘরে পাঠান রাবাদা। আঁটসাঁট থেকে ওই ওভারে কেবল ২ রান দেন তিনি। শেষ ওভারে নরকিয়ার কাছ থেকে ৭ রানের বেশি তোলা যায়নি।
রাবাদা ৪ ওভারে স্রেফ ১৮ রানে শিকার করেন ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট যায় কেশব মহারাজ, নরকিয়া ও শামসির ঝুলিতে। এই উইকেটের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যৌথ সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিতে পরিণত হয়েছেন নরকিয়া। কিংবদন্তি ডেল স্টেইনের মতো তার নামের পাশেও রয়েছে ৩০ উইকেট।
কুড়ি ওভারের বিশ্ব আসরে অন্তত ৫০ ওভার হাত ঘোরানো সকল বোলার মিলিয়ে মধ্যে ডানহাতি গতিময় পেসার নরকিয়ার গড় (১০.১৬), স্ট্রাইক রেট (১১.৩) ও ইকোনমি (৫.৩৬) সবচেয়ে সেরা।
Comments