টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

এবার তবে মেডেন ওভারের বিশ্বকাপ!

Jasprit Bumrah
বিশ্বকাপে দাপট দেখাচ্ছেন বোলাররা। উইকেট নিচ্ছেন তো বটেই, মেডেন ওভারও তারা করছেন হরহামেশা।

মেডেন ওভার! দুই দলের লড়াইয়ে আলাদা এক অর্জনই বলা যেতে পারে একটা মেডেন ওভারকে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যদিও সে অর্জনের অনুভূতি বোলাররা পান কালেভদ্রে। তবে চলমান বিশ্বকাপে মেডেন ওভার দেখা গেছে হরহামেশা। তাইতো ২৯ ম্যাচের মধ্যেই আগের সব আসরকে ছাড়িয়ে গেল ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।

শনিবার নিউজিল্যান্ড ও উগান্ডার মধ্যকার হওয়া ম্যাচটি চলতি বিশ্বকাপের ৩২তম। এই সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে আয়োজিত বিশ্বকাপ দেখে ফেলছে ২৬টি মেডেন। এর আগে এক আসরে সবচেয়ে বেশি মেডেন দেখা গিয়েছিল ২০১২ সালের বিশ্বকাপে। শ্রীলঙ্কায় সেবার ২১টি মেডেন ওভার করেছিলেন বোলাররা।

এবার সেই রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। শুক্রবার আফগানিস্তান-পাপুয়া নিউগিনি ম্যাচের প্রথম ইনিংসেই ভেঙে যায় রেকর্ডটি। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১১তম ওভারে শূন্য রান দিয়ে করেন চলতি আসরের ২২তম মেডেন। সংখ্যাটা বেড়ে ২০১২ সালের রেকর্ডকে অনেক পেছনেই ফেলে দেওয়ার জোর সম্ভাবনা। তবে চতুর্থ বিশ্বকাপে হয়েছিল মাত্র ২৭ ম্যাচ।

এই দুই আসর ছাড়া যদিও আর কোনবারই ২০টির বেশি মেডেনের স্বাদ পাননি বোলাররা। ২০২১ ও ২০২২ সালের কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক আসরে সমান সংখ্যক মেডেন ওভার হয়েছিল। চল্লিশের বেশি ম্যাচ হওয়া সেই দুই আসরে বোলাররা করেছিলেন ১৭টি শূন্য রানের ওভার।

সবচেয়ে কম মেডেন ওভার হয়েছে ২০০৯ বিশ্বকাপে। ইংল্যান্ডের মাটিতে আয়োজিত সে আসরে মাত্র পাঁচবার শূন্য রানে নিজেদের ওভার শেষ করতে পেরেছিলেন বোলাররা। ১০টির কম মেডেন ওভারে আরেকটি আসরে বোলারদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। ২০১৬ সালের ভারত বিশ্বকাপে মাত্র নয়টি মেডেন ওভারই ঢুকেছিল বোলারদের ঝুলিতে। এর আগের আসর, অর্থাৎ বাংলাদেশের মাটিতে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেও হয়নি ১৩টির বেশি মেডেন।

প্রথম বিশ্বকাপে রান ছাড়া ১৫টি ওভার করতে পেরেছিলেন বোলাররা। ২০০৭ সালের সে বিশ্বকাপের পর মেডেন ওভারের সংখ্যা যদিও কমে যায়। ২০০৯ বিশ্বকাপে সংখ্যাটা পাঁচে থাকার পর ২০১০ সালেও যায়নি এগারোর উপরে। ম্যাচের হিসাবে সবচেয়ে বড় ২০২৪ সালের আসর এসব সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে কত আগেই!

এর পেছনের কারণ আর কিছুই নয়। এবারের আসরে যে বোলিং সহায়ক কন্ডিশনেই খেলার সৌভাগ্য হচ্ছে বোলারদের। বোলারদের স্বর্গ নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামেই সবচেয়ে বেশি মেডেনের দেখা পেয়েছেন তারা। নয়টি মেডেন হয়েছে নিউইয়র্কের স্টেডিয়ামটিতে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে আর মাত্র একটি ভেন্যুতেই এর চেয়ে বেশি মেডেন ওভার হয়েছে। কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামেই একমাত্র ১০টির বেশি শূন্য রানের ওভার দেখেছে টি-টোয়েন্টির বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাটি।

চলমান আসরে পাঁচটি করে মেডেন হয়েছে ত্রিনিদাদ ও গায়ানার স্টেডিয়ামে। আন্টিগায় কোনো রান ছাড়া তিনটি ওভার করতে পেরেছেন বোলাররা। আর কোন স্টেডিয়ামে এ পর্যন্ত তিনটির বেশি মেডেন ওভার হয়নি। যে ধারা চলছে অবশ্য, নিকট ভবিষ্যতেই তা হওয়ার সম্ভাবনা খুব জোরালো!

ম্যাচের একটি ইনিংসে সবচেয়ে বেশি তিনটি মেডেন ওভারের রেকর্ড আছে বিশ্বকাপে। যেটি মোট পাঁচবার হয়েছে বিশ্ব আসরে। তার মধ্যে তিনটিই দেখা গেছে এবারের বিশ্বকাপে। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই যে আসরকে একটি নাম দেওয়া যায়, মেডেন ওভারের বিশ্বকাপ!

Comments

The Daily Star  | English
NBR speeds up auction process of abandoned goods

NBR moves to speed up auction of abandoned goods

About 2 lakh tonnes of imported goods left abandoned at Chattogram port alone for years

3h ago