পরিকল্পনা বদলে গেছে সাকিবের

মুখে হাসি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন আরও একটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার প্রত্যাশা।
সাকিব আল হাসান, স্টেপ ফুটওয়্যার, এসএএইচ৭৫,
সাকিব আল হাসান। ফাইল ফটো

গত বছর একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, বাংলাদেশ দলে তিনি ২০২৫ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত খেলবেন। সেক্ষেত্রে আসন্ন আসরই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। কিন্তু পরিকল্পনা বদলে গেছে এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের। মুখে হাসি নিয়ে তিনি জানিয়েছেন আরও একটি বিশ্বকাপে খেলার প্রত্যাশা।

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকা ক্রিকেটারদের নিয়ে বিসিবির ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম করে চলেছে ধারাবাহিক ভিডিও সিরিজ 'দ্য গ্রিন রেড স্টোরি'। শুক্রবার এই আয়োজনে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন ৩৭ বছর বয়সী তারকা সাকিব।

সাকিব ও ভারতের রোহিত শর্মাই স্রেফ দুজন ক্রিকেটার, যারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নয়টি আসরের সবকটিতে খেলতে যাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, 'প্রথম বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হলো, সবগুলোতেই অংশ নিতে পেরেছি। আমার জন্য এটা গর্বের ও আনন্দের। পাশাপাশি যেহেতু দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি, অনেক ভালো লাগার একটা জায়গা আছে। আমি ও রোহিত শর্মাই হয়তো মাত্র দুজন ক্রিকেটার, যারা সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে।'

আরও একটি বিশ্বকাপে দৃষ্টি রাখছেন বাংলাদেশ এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। তার আগে এবারের আসরও ভালো কাটানোর আশা প্রকাশ করেছেন, 'আশা করব, আরও একটি বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি। তার আগে এই বিশ্বকাপে যেন পারফরম্যান্সটা অনেক ভালো থাকে। বাংলাদেশ যেন অন্যান্য যে কোনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো ফল করে আসতে পারে।'

খেলার বাইরে বেশিরভাগ সময় সাকিব যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে। তার 'সেকেন্ড হোম' (দ্বিতীয় ঘর) যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দল সুবিধা পাবে কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি জবাব দিয়েছেন, 'আমার সেকেন্ড হোম, সেটা ঠিক আছে। হোম অ্যাডভান্টেজ পাবে কি না, বলাটা মুশকিল। কিন্তু আমার মনে হয় পাবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আমেরিকা, এ দুটো জায়গাতেই আমরা এর আগে ফ্লোরিডায় যখন খেলেছি, তখনও বাংলাদেশ ভালো করেছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে আমরা সব সময়ই সুবিধা পাই। কারণ ওদের পিচগুলো অনেকটা আমাদের মতোই হয়ে থাকে। তাই আশা করছি, দুই জায়গাতেই আমরা সুবিধা পাব।'

বাংলাদেশের হয়ে ১২২ টি-টোয়েন্টি খেলা সাকিব এই সংস্করণের বর্তমান রূপ নিয়ে বলেছেন, 'আমার কাছে মনে হয়, এটা ওয়ানডেরই বর্ধিত সংস্করণ। ওভার কমিয়ে দিলে যেটা হতো, সেটাই। অনেক রোমাঞ্চকর। দর্শকরা অনেক পছন্দ করেন। আমি একটি জিনিসই শুধু মনে করি যে, ব্যাট ও বলের যেন সমান লড়াই এখানে থাকে। একতরফা যেন টুর্নামেন্টটা না হয়। সাধারণত বিশ্বকাপে কখনোই সেটা হয় না। আমি মনে করি, এবারও একইরকম হবে।'

বিশ্বকাপে 'ডি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষরা হলো দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। প্রথম দুটি ম্যাচ যুক্তরাষ্ট্রে খেলার পর বাকি দুটি ম্যাচ তারা খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেখানে কেমন সমর্থন মিলবে? সাকিব জবাব দিয়েছেন, 'প্রচুর বাংলাদেশি দর্শক সেখানে অপেক্ষা করছে। আশা করি, তারা পূর্ণ সমর্থন দেবে আমাদেরকে এবং তাদের এই সমর্থন আমাদের কাজে আসবে। আমরা ভালো ফল পেতে সক্ষম হব।'

নিজের লক্ষ্য নিয়ে জানতে চাওয়া হলে বরাবরের মতো দলের প্রয়োজনে অবদান রাখার প্রসঙ্গ এনেছেন তিনি, 'আমার নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। একটি জিনিসই চাই যেন বাংলাদেশের হয়ে অবদান রাখতে পারি। এই বিশ্বকাপে যেন বাংলাদেশের হয়ে ভালো কিছু করতে পারি।'

Comments