জিনাতই চ্যাম্পিয়ন, আফরাকে সমর্থন দিতে গ্যালারিতে আফঈদা

ফাইনালে আফরা খন্দকারের লড়াই দেখতে হঠাৎ করেই স্টেডিয়ামে হাজির হলেন বাংলাদেশ নারী জাতীয় দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। গ্যালারিতে বাবা-মায়ের সঙ্গে বসে পুরোটা সময় গলা ফাটিয়ে বড় বোনকে সমর্থন দিয়ে গেলেন তিনি। কিন্তু বড় মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারলেন না আফরা। তাকে অনায়াসে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জিনাত ফেরদৌস।
বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামে জাতীয় বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে মেয়েদের ৫২ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেরা হয়েছেন জিনাত। তিন রাউন্ডের সবকটিতেই জেতেন তিনি।

প্রথমবারের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়েই অনুমিতভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া জিনাত প্রকাশ করেন উচ্ছ্বাস, 'গ্যালারিতে অনেক দর্শক দেখে ভীষণ ভালো লেগেছে। ঘরোয়া পর্যায়ে আমার অভিষেক হলো এই চ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে। আশা করি, এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে অংশ নিতে পারব।'
বাংলাদেশের বক্সারদের টেকনিকে আরও উন্নতি করার সুযোগ দেখেন তিনি, 'বাংলাদেশি ছেলে-মেয়ে যারা আছে, সত্যিকার অর্থেই ওরা আরও খেলতে চায়। টেকনিক যদি আরও ভালমতো রপ্ত করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে ওরা অনেক ভালো করবে।'

জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে টানা দ্বিতীয়বার রানার্সআপ হওয়া আফরা বলেন, হারলেও আক্ষেপ নেই তার, 'তিনি (জিনাত) অনেক স্কিলসম্পন্ন বক্সার। তার টেকনিক অনেক ভালো। আমি চেয়েছিলাম, খেলা যেন তিন রাউন্ড পর্যন্ত যায়। নকআউট হতে চাইনি।'
বড় বোনের পারফরম্যান্স নিয়ে আফঈদার ভাষ্য, '(জিনাতের) পাঞ্চগুলো ওর (আফরা) গায়ে পড়তে দেখে ভয় লেগেছে। তবে সব মিলিয়ে খেলা উপভোগ করেছি।'

সাধারণত বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যায় না দেশের দর্শকদের মধ্যে। এবার জিনাতের কারণে চিত্র ছিল ভিন্ন। তার লড়াই সরাসরি উপভোগ করতে গ্যালারি ছিল প্রায় পূর্ণ। স্টেডিয়ামের বেহাল দশায় অবশ্য ভোগান্তিতে পড়েন ভক্ত-সমর্থকরা। মূল দরজা বন্ধ থাকায় গ্যালারিতে উঠতে হয় মই ব্যবহার করে, সিটগুলো ধুলো-ময়লায় মাখামাখি। তারপরও দর্শকদের উৎসাহ-উদ্দীপনায় কমতি ছিল না।
Comments