চালহানোগ্লুকে ইন্টার থেকে বিদায় হতে বললেন লাউতারো!

ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতেই বাদ পড়ার পর ইন্টার মিলানের 'চালিয়ে যেতে না‑চাওয়া' খেলোয়াড়দের বেরিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অধিনায়ক লাউতারো মার্তিনেস। ক্লাব সভাপতি জুজেপে মারোত্তা মনে করেন, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের ইঙ্গিতটি মূলত হাকান চালহানোগ্লুর দিকে।
সোমবার শার্লটের ম্যাচে ফ্লুমিনেন্সের কাছে ২‑০ গোলের পরাজয়ে বিদায় নেয় চ্যাম্পিয়নস লিগের সবশেষ আসরের ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলান। হার্মান কানো ও হারকিউলিসের গোলে টুর্নামেন্টের তৃতীয় পর্বে জায়গা করে নিয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাবটি। এবারের আসরে ইউরোপীয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানেরা এখন জয়ের পাল্লায় এগিয়ে।
গ্রুপ পর্বে দুই গোল করা মার্তিনেসই টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি শট (১৫) নিয়েছেন, যার মধ্যে তিনটি শট বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়েছে। পরাজয়ের পর ডিএজেডএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, 'এটা অবশ্যই কষ্টের; সামান্য শক্তি বেঁচে ছিল, সেটাও ঢেলে দিয়েছি। হারতে কোনোভাবেই চাইনি। ইন্টার জার্সিতে থাকতে হলে এখানে থাকতে 'চাইতে' হবে। যাদের থাকতে ভালো লাগে না, তারা চলে যাক।'
'আমি নাম বলব না, আমি এমন অনেক কিছুই দেখেছি, যা আমার পছন্দ হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে আমি লক্ষ্য লড়াইয়ে দলকে নিয়ে যেতে চাই। আমরা আগেও জিতেছি, আগামীতেও জিততে চাই। যারা থাকতে চায় থাকুক, আর যারা চায় না—বিদায় নিক,' যোগ করেন ইন্টার অধিনায়ক।
মারোত্তা পরে স্পোর্ট মিডিয়াসেতকে জানান, মার্তিনেসের বক্তব্য মূলত হাকান চালহানোগ্লুকে উদ্দেশ করে, যিনি গালাতাসারায়ে যেতে চেয়ে ক্লাবকে জানিয়েছেন এবং কাফের চোটে সোমবার খেলেননি। মারোত্তা বলেন, 'দ্বিতীয় হওয়াও ব্যর্থতা নয়; খেলাধুলায় এটাও লক্ষ্য হতে পারে। লাউতারোর কথায় "অন্তর্গত বন্ধন" গড়ে তোলার তাগিদ আছে।'
'যখন কোনো খেলোয়াড় চলে যেতে চায়, তখন তার জন্য দরজা খোলা। এই প্রসঙ্গ চালহানোগ্লুকে ঘিরেই। তবে তাকে দোষারোপ করছি না; আগামী কয়েক সপ্তাহ কথা বলব, যদি যেতে চায়, শুনব। লাউতারো মূলত এই ধরনের বিষয়েই সতীর্থদের উদ্দেশে বলেছেন; মনে রাখতে হবে, ফুটবল দলগত খেলা,' যোগ করেন ক্লাব সভাপতি।
Comments