পুরো ৪২ মিলিয়ন ইউরো পেলেই বার্সা ছাড়বেন টের স্টেগেন!

অবশেষে মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের পথচলার অবসান ঘটাতে চাইছে বার্সেলোনা। তবে এই বিদায় মোটেই সহজ হচ্ছে না। ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে বিদায় পর্ব শুরু করতে প্রস্তুতি নিয়েছে, যার অংশ হিসেবে স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন নতুন গোলরক্ষক হুয়ান গার্সিয়া। কিন্তু টের স্টেগেনের চুক্তি নিয়ে জটিলতা এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্ত জানিয়েছে, ২০২৮ সালের জুন পর্যন্ত বিদ্যমান চুক্তি অনুযায়ী টের স্টেগেনের প্রাপ্য অর্থ প্রায় ৪২ মিলিয়ন ইউরো। এই অর্থ ক্লাবের বেতনের বাজেটে গুরুতর চাপ সৃষ্টি করছে, যার কারণে ক্লাব তার সঙ্গে চুক্তির সময় শেষ হওয়ার আগেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইছে ক্লাবটি।

আর কোচ হান্সি ফ্লিকের সম্মতিতে ক্রীড়া পরিচালকেরা টের স্টেগেনকে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চাইলে অন্য ক্লাবের পথ খুঁজতে পারেন। কিন্তু টের স্টেগেন একথা জানিয়ে দিয়েছেন যে, পূর্ণ অর্থ পরিশোধ ছাড়া তিনি বার্সা ছাড়বেন না। ছাড় দিবেন না এক পয়সাও। সেক্ষেত্রে তাকে দিতে হবে পুরো ৪২ মিলিয়ন ইউরো!

তের স্টেগেন অভিযোগ করেছেন, ক্লাব তাকে মৌসুম শেষে পরিকল্পনায় পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। বরং কিছু অভ্যন্তরীণ তথ্য গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়ার মাধ্যমে তাকে 'আক্রমণ' করা হয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি।

এই অবস্থায়, আংশিক ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে সমঝোতা করতে চাইছে বার্সেলোনা। কিন্তু টের স্টেগেনের প্রতিনিধিরা জানিয়ে দিয়েছেন, চুক্তির প্রতিটি ইউরো পরিশোধ না হলে কোনো আলোচনা নয়। বর্তমান ইউরোপীয় ট্রান্সফার বাজারে প্রথম সারির গোলরক্ষকের জন্য ক্লাবের সংখ্যা সীমিত হওয়ায় আলোচনাটি আরও জটিল হয়ে পড়েছে।

এদিকে, জার্মানির হয়ে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষে জরুরি ভিত্তিতে বার্সেলোনায় ফিরে এসেছেন টের স্টেগেন। আজকের মধ্যেই ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। একদিকে বার্সেলোনা চায় আর্থিক ভারসাম্য বজায় রাখতে, অন্যদিকে টের স্টেগেন ছাড়তে চান না নিজের ন্যায্য প্রাপ্য ছেড়ে। সব মিলিয়ে, ক্যাম্প ন্যুতে এক উত্তপ্ত গ্রীষ্ম অপেক্ষা করছে।

Comments

The Daily Star  | English

Trump brokered ceasefire agreement in contact with Israel, Iran: White House official

Meanwhile, fresh series of explosions were reported in the Iranian capital Tehran, as per AFP journalist

1d ago