বার্সেলোনায় যোগ দিতে প্রস্তুত দিয়াজ!

বেশ কিছুদিন থেকেই লুইস দিয়াজের বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া নিয়ে অনেক গুঞ্জন উড়ছে ফুটবল মহলে। মাঝে আবার সে গুঞ্জন থেমেও গিয়েছিল। তবে আবারও এই গুঞ্জন চাউর। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দিপোর্তিভো জানিয়েছে দিয়াজের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বার্সেলোনার এবং এই কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড কাতালান ক্লাবে যোগ দিতে উদ্যোগ নিচ্ছেন।

সংবাদ অনুযায়ী, দিয়াজ নিজেও বার্সায় যোগ দিতে আগ্রহী। বার্সেলোনার ক্রীড়া পরিচালক ডেকোর আগ্রহের কথা সে জানে এবং এরমধ্যেই ক্লাব ছাড়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছেন। জানা গেছে, খেলোয়াড় ও বার্সা—দুই পক্ষই তার সম্ভাব্য চুক্তির শর্তাবলি নিয়ে একমত হয়েছেন।

তবে লিভারপুলে সঙ্গে দিয়াজের আরও দুই বছরের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু ডেকো এবং নতুন কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের চোখে তিনি অন্য সব বিকল্প, যেমন মার্কাস রাশফোর্ড (২৭) ও নিকো উইলিয়ামস (২২)-এর চেয়ে এগিয়ে আছেন এই কলম্বিয়ান। গত মৌসুম থেকেই ডেকোর পছন্দের তালিকায় ছিলেন দিয়াজ, এবং এই মৌসুমেও তিনি 'প্রথম পছন্দ' হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছেন।

এরমধ্যেই দিয়াজ তার এজেন্টের মাধ্যমে ক্লাব ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, লিভারপুলের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কোনো আলোচনায় যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন—যা বার্সার জন্য এক বড় সুবিধা। কারণ, বর্তমান চুক্তির মেয়াদ দুই বছর থাকায় লিভারপুলের সামনে এখন দুটো পথ: হয় চুক্তি নবায়ন, নয়তো তাকে ভালো দামে বিক্রি।

উল্লেখ্য, লিভারপুল তাকে ৪৫ মিলিয়ন ইউরো মূল্যে কিনেছিল, যা পরবর্তীতে পারফরম্যান্স বোনাসসহ ৬০ মিলিয়নে পৌঁছাতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে লিভারপুলকেও অর্থের দরকার, কারণ তারা ১০০ মিলিয়নেরও বেশি দামে ফ্লোরিয়ান ভির্টজকে দলে টানতে চায় তারা।

বার্সার লক্ষ্যও পরিষ্কার, আক্রমণভাগ মজবুত করার জন্য দিয়াজই তাদের প্রধান টার্গেট। যদিও লিভারপুল তার জন্য ৮৫ মিলিয়ন ইউরোর দাবি করছে। তবে বার্সা আশা করছে খেলোয়াড় ও তার ঘনিষ্ঠদের সহযোগিতায় অনেক কম দামে তাকে দলে টানা সম্ভব হবে। এমনকি সৌদি আরবের লোভনীয় প্রস্তাব আসলেও, দিয়াজ আপাতত তা উপেক্ষা করেছেন—কারণ তার প্রথম পছন্দ বার্সার জার্সি গায়ে জড়ানো।

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago