মিলানে আমরা ফাইনালের আগে আরেকটি ফাইনাল খেলব: বার্সা কোচ

ঘরের মাঠে সুবিধা নিতে পারেনি বার্সেলোনা। দ্বিতীয় লেগে ইন্টার মিলানের মাঠে কাজটা স্বাভাবিকভাবেই আরও দুরূহ হয়ে উঠতে পারে। ফলে ছয় বছর পর সেমি-ফাইনালে ফিরে সেখানেই আটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছে দলটি। তবে মিলানে ম্যাচটি ফাইনাল ভেবেই মাঠে নামবেন বলে জানান বার্সেলোনা কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

মন্তুজুইকে আগের রাতে ইন্টারের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। ম্যাচে তিনটি গোল হজম করায় হতাশা গোপন না করলেও, দলের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের প্রশংসা করেছেন ফ্লিক, 'আমরা ভালোভাবে শুরু করিনি, দুটি গোল খেয়ে বসি। কিন্তু তারপর আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ খেলেছি। এটা দর্শকদের জন্য দারুণ এক ম্যাচ ছিল।'

দ্বিতীয় লেগে সানসিরোতে ভালো কিছুর করার প্রত্যয় দেখিয়ে এই জার্মান কোচ আরও বলেন, 'এটা দুই দলের প্রথম সাক্ষাৎ, এবং এখন আমাদের মিলানে জিততেই হবে। এটা এক ফাইনালের আগের ফাইনাল।... আমরা যেন আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলি—নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে। আশা করি ৯০ মিনিটই যথেষ্ট হবে ফাইনালে উঠতে।'

তবে গোল হজমের দিকটি মাথায় রাখতে হবে—এমন সতর্কতাও দিয়েছেন ফ্লিক। তিনি প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলানের অভিজ্ঞতাও স্বীকার করে নেন, 'এটা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল—এখানে সব দলই দুর্দান্ত। ইন্টার অভিজ্ঞ দল, সেট পিসে তারা আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করেছে, এবং তা কাজে লাগিয়েছে।'

'তাদের অনেক লম্বা এবং সেট পিসে বিপজ্জনক খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্তু আমি আমার দলের পারফরম্যান্স এবং লড়াইয়ের মানসিকতা দেখে গর্বিত। লামিন একজন বিশেষ খেলোয়াড়। আমি খুশি, প্রতি ৫০ বছরে যে ধরনের খেলোয়াড় আসে, সে এখন বার্সেলোনার হয়েই খেলছে,' যোগ করেন ফ্লিক।

ইন্টার দুই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর লামিন ইয়ামাল যেভাবে ম্যাচে ফেরান দলকে, সেটি আলাদাভাবে তুলে ধরেন ফ্লিক, 'সে আমাদের পথ দেখিয়েছে। ২-১ গোলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজ সে একটি গোল করেছে, একটি অ্যাসিস্ট দিয়েছে এবং রাফিনিয়ার গোলে অবদান রেখেছে, যেটি সোমারের স্পর্শে জালে ঢোকে।'

'বড় ম্যাচগুলোতে এই ছেলেটার গুণাগুণ স্পষ্ট হয়ে যায়। আজ আবার সেটাই প্রমাণ করলো। লামিন একজন ব্যতিক্রমী খেলোয়াড়। ইনজাগির মন্তব্যের সঙ্গে আমিও একমত—এ রকম খেলোয়াড় ৫০ বছরে একবার আসে,' যোগ করেন বার্সেলোনা কোচ।

মিলানের ফিরতি লেগ সম্পর্কে ফ্লিক আরও বলেন, 'ইন্টার শুধু রক্ষণ করেই পার পাবে না, তাদেরও গোল করতে হবে। সেমিফাইনালে খেলছে ইউরোপের চার সেরা দল, কাজেই আমাদেরও সাহস নিয়ে খেলতে হবে। আমাদের জানা কাজগুলো ঠিকভাবে করে যেতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

15h ago