কুন্দের শট জালে যাবে আশা করেননি শেজনি

ব্রাহিম দিয়াজের উদ্দেশ্যে বল বাড়াবেন লুকা মদ্রিচ, তা আগেই ধারণা করেছিলেন জুলস কুন্দে। তাই সামনে এগিয়ে আসেন। কাঙ্ক্ষিত বলও পেয়ে যান। নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এরপর কি নিখুঁত এক শট। জড়িয়ে গেলো জালে। উল্লাসে মেতে ওঠে কাতালান শিবির। সেই গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য।

কিন্তু কুন্দের শট জালে জড়াবে তা ভাবতেই পারেননি গোলরক্ষক বয়েচেখ শেজনি। অবশ্য এই গোলরক্ষক কখনোই উচ্ছ্বাসের বশবর্তী হন না। এই সংযত স্বভাবের জন্যই তাকে 'বরফমানব' উপাধি দেওয়া হয়েছে। নিজের দায়িত্বে সবসময় সম্পূর্ণ মনোযোগী থাকেন তিনি।

কোপা দেল রে-এর ফাইনালেও ব্যতিক্রম ছিল না। তবে এবার জুল কুন্দের জয়সূচক গোলের পর ক্যামেরার ফোকাস ছিল মূলত তার সতীর্থদের ওপর, যারা ফরাসি ডিফেন্ডারের চারপাশে ভিড় করেছিলেন। তাই শেজনি প্রতিক্রিয়া সবার নজর এড়িয়ে গেছে। পরে মিক্সড জোনে এসে তিনি নিজেই জানালেন, কীভাবে তিনি সেই মুহূর্তটা অনুভব করেছিলেন।

'সত্যি কথা বলতে কি, যখন কুন্দে শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছিলেন, তখনই আমি ভাবছিলাম কীভাবে রক্ষণ সাজাবো, রক্ষণভাগকে তাগিদ দিচ্ছিলাম সাবধান থাকার জন্য, কারণ আমি আশা করিনি যে বলটা জালে যাবে। তবে ওর জন্য দারুণ একটা মুহূর্ত ছিল,' 'বার্সা ওয়ান'-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন শেজনি।

মজার ছলে বলা কথা শেষ করে কুন্দের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন এই পোলিশ গোলরক্ষক, 'আমি মনে করি, কুন্দে হলো সবচেয়ে পরিশ্রমী খেলোয়াড়দের একজন, যাকে আমি এখানে দেখেছি। তার ব্যক্তিত্ব এবং মানসিকতাও অসাধারণ। এমন একটা বড় মঞ্চে, এমন একটা বিশেষ মুহূর্তের পুরোপুরি প্রাপ্য সে। সাধারণত আমরা তার খেলার অন্য দিকগুলো মূল্যায়ন করি, কিন্তু এই মুহূর্তটাও ওর প্রাপ্য ছিল।'

অন্যদিকে, জুল কুন্দে নিজেও ক্লাবের টেলিভিশন চ্যানেলে স্বীকার করেন, তিনি তখনো ঠিক উপলব্ধি করতে পারছিলেন না কী ঘটেছে লা কার্তুখায়। কুন্দে বলেন, 'আমি এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি, তবে সতীর্থরা নিশ্চয়ই আমাকে মনে করিয়ে দেবে। এটা ছিল এক বিশেষ রাত।'

'গোলটা হলো এমন একটা মুহূর্তে, যখন আমি বুঝতে পারি, মদ্রিচের পাস আসছে, আমি আগে থেকেই আন্দাজ করে নিয়েছিলাম, বল নিয়ন্ত্রণে আনি এবং দেখি ডান পাশে লামিন আছে। কিন্তু এটা শট নেওয়ার উপযুক্ত সময় ছিল। খুব ভালোভাবেই শেষ হয়েছে, তাই আমি খুবই খুশি,' বলেন কুন্দে।

Comments

The Daily Star  | English

Some banks hit by capital squeeze

State-owned, Islamic Shariah-based, and specialised banks have seen deeper deterioration in their financial positions, whereas private commercial banks and foreign banks remain on firmer ground.

11h ago