রিয়ালের বিপক্ষে বার্সার ফাইনালের স্কোয়াডে ফিরলেন টের স্টেগেন

ছবি: বার্সেলোনা ওয়েবসাইট

ধারণা করা হচ্ছিল, চলতি মৌসুমে আর মাঠে নামা হবে না মার্ক-অ্যান্ড্রে টের স্টেগেনের। তবে প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত সেরে উঠেছেন বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক। শুধু তাই নয়, ইতোমধ্যে খেলার জন্যও প্রস্তুত হয়ে গেছেন ৩২ বছর বয়সী তারকা।

কোপা দেল রের ফাইনালে এবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সা। এই ম্যাচের জন্য শুক্রবার কাতালানদের ঘোষিত ২২ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা করে নিয়েছেন টের স্টেগেন। সেখানে গোলরক্ষক হিসেবে আরও আছেন পোলিশ ভইচেক স্ট্যান্সনি ও স্প্যানিশ ইনাকি পেনিয়া।

স্পেনের নকআউট পদ্ধতির প্রতিযোগিতাটির শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ের ভেন্যু এবার সেভিয়ার এস্তাদিও দে লা কার্তুইয়া। বাংলাদেশ সময় অনুসারে, আগামীকাল শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় শুরু হবে খেলা।

মৌসুমের শুরুর দিকে হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে পড়েন টের স্টেগেন। গত সেপ্টেম্বরে লা লিগায় ভিয়ারেয়ালের বিপক্ষে ৫-১ গোলে জয়ের ম্যাচে বল ধরার সময় মাটিতে বাজেভাবে পড়ে যান। যন্ত্রণায় কাতর হয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

পরে জানা যায়, টের স্টেগেনের ডান পায়ের 'প্যাটেলা টেন্ডন' মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরদিনই তার পায়ে সফলভাবে অস্ত্রোপচার করা হয়। এই ধরনের চোট থেকে সেরে উঠতে অন্তত আট মাসের মতো সময় লাগে। তবে দৃঢ় মনোবল দেখিয়ে সম্ভাব্য সময়ের আগেই দলে ফিরেছেন তিনি।

তখন টের স্টেগেন লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যাওয়ায় শূন্যস্থান পূরণে স্ট্যান্সনিকে দলে টানে বার্সা। অবসর ভেঙে ফেরা ফুটবলার নিয়মিত দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে যাচ্ছেন। পেনিয়াকে টপকে তিনিই কাতালানদের এক নম্বর গোলরক্ষকে পরিণত হয়েছেন।

ফাইনালে বার্সার গোলপোস্ট কে সামলাবেন তা নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে চলছে জল্পনা-কল্পনা। তবে এতদিন ধরে স্ট্যান্সনি আস্থার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ায় মাত্রই ফেরা টের স্টেগেনের চেয়ে রিয়ালের বিপক্ষে তার খেলার সম্ভাবনাই জোরাল।

২০১৩-১৪ মৌসুমের পর এই প্রথম কোপা দেল রের ফাইনালে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও রিয়াল। প্রতিযোগিতাটির রেকর্ড ৩১ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সা। তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ বার শিরোপা জিতেছে রিয়াল।

Comments

The Daily Star  | English

Cops charge batons, fire tear shells as students enter Secretariat

40 of the injured were brought to Dhaka Medical College Hospital

3h ago