রিকোভারি, রিকোভারি ও রিকোভারিতেই মনোযোগ বার্সেলোনার

লেগানেসের মাঠে স্রেফ ভাগ্য সঙ্গে থাকায় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। সংগ্রাম করা এই জয় নিয়ে ফিরতে না ফিরতেই আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ খেলতে ডর্টমুন্ড যেতে হবে দলটিকে। তাই এই সময়ে খেলোয়াড়দের মনোযোগ তাই কেবল রিকোভারিতেই থাকতে হবে বললেন কোচ হ্যান্সি ফ্লিক।

রোববার রাতে লেগানেসের মাঠে লা লিগার ম্যাচে স্বাগতিকদের ১-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। আর কাঙ্ক্ষিত গোলটি এসেছে আত্মঘাতী গোল হিসেবে। কষ্টার্জিত এই জয়ের পরও স্বস্তিতে নেই দলটি। চোটে পড়েছেন আলেহান্দ্রো বালদে। এমনিতেই বেশ কিছু খেলোয়াড় চোটের কারণে রয়েছেন মাঠের বাইরে।

এমন অবস্থায় বার্সেলোনার কোচ ফ্লিক এখন মৌসুমের শেষ ধাপে নিজেদের পুনরুদ্ধারের ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। লা লিগায় শীর্ষে থাকা এবং কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়নস লিগে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার এই সময়ে দলের শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি তার মূল লক্ষ্য।

সংবাদমাধ্যমকে ফ্লিক বলেন, 'আমাদের পুরো মনোযোগ রাখতে হবে রিকোভারি, রিকোভারি, রিকোভারিতে—এটাই এখন বাস্তবতা। আজ রাতে আমরা বার্সেলোনায় ফিরবো, আগামীকাল অনুশীলন করবো এবং সোমবার ডর্টমুন্ড যাব। আমাদের কোনো অজুহাত নেই—আমাদের রিকোভারি করতেই হবে, এটাই আমাদের দায়িত্ব।'

প্রতিপক্ষ দলের জর্জ সানজের আত্মঘাতী গোলই ম্যাচে বার্সার জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল। টানা ম্যাচের চাপের কথা মাথায় রেখে ফ্লিক বলেন, 'জয় মানেই জয়, যেভাবেই আসুক না কেন। শেষ ক'সপ্তাহ বা দিনের মধ্যে খেলোয়াড়রা যেভাবে ম্যাচের ভার বহন করেছে, তা অবিশ্বাস্য। আন্তর্জাতিক বিরতির পর আমার দল যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি দারুণ গর্বিত। ওদের পারফরম্যান্স সত্যিই অসাধারণ।'

তবে এদিন জয়ের অন্যতম নায়ক ইনিগো মার্তিনেজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন ফ্লিক। ম্যাচের শেষ দিকে স্টপেজ টাইমে মুনীরের নিশ্চিত গোল ঠেকাতে দারুণ এক ট্যাকল করেন এই ডিফেন্ডার, 'এটাও খেলারই অংশ—সঠিকভাবে রক্ষা করা। আমি ওটাকে উদযাপন করেছি। পুরো খেলাটাই নিখুঁত ছিল।'

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ২৪ ম্যাচে অপরাজিত বার্সেলোনা আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের, যাদের বিপক্ষে প্রথম লেগে তারা ৪-০ গোলে জয় পেয়েছে দলটি। এরপর শনিবার লা লিগায় তারা সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে।

Comments

The Daily Star  | English

Hasina’s final days before the fall

A desire to cling to power, intolerance for dissent and failure to see the writing on the wall were what eventually unravel Sheikh Hasina’s iron-fisted rule of 15 years.

7h ago