কী হয়েছিল রাফিনিয়া ও টের স্টেগেনের মধ্যে?

ম্যাচের একেবারে অন্তিম মুহূর্তে কর্নার পেয়েছিল বার্সেলোনা। তখন যোগ করা সময়ের বাকি মাত্র ৫ সেকেন্ড। কর্নার নেওয়ার সুযোগ না দিয়ে আগেই খেলা শেষের বাঁশি বাজিয়ে দেন রেফারি গিল মানজানো। রেফারির এই আচরণে সবচেয়ে ক্ষুব্ধদের একজন ছিলেন রাফিনিয়া। যার জেরে শেষ পর্যন্ত হয়ে গেছে অনেক কিছুই।

ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার স্পষ্টতই রেফারি এবং তার সহকারী দলের ওপর অসন্তুষ্ট ছিলেন। ম্যাচ শেষে রাফিনিয়ার আচরণ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ। মাঠ ত্যাগ করার সময় তিনি এক সহকারী রেফারির মুখোমুখি হয়ে রাগে ফেটে পড়েন।

'তুমি আমাকে চুপ থাকতে বলার কেউ নও! আমাকে চুপ থাকতে বলতে পারো না!' — চিৎকার করে বলেন বার্সার এই খেলোয়াড়। রেফারিদের পক্ষপাতমূলক আচরণে রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে আরও বলেন, 'তুমি ভদ্রতা শেখো!'

এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারত, যদি না টের স্টেগেন দ্রুত হস্তক্ষেপ না করতেন। দলের অধিনায়কের ভূমিকা পালন করে তিনি মাঠেই পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন, যেভাবে কয়েক সেকেন্ড আগে কোচ ফ্লিকও করেছিলেন। তবে রাফিনিয়ার রাগ এতটাই প্রবল ছিল যে, তিনি উল্টো টের স্টেগেনকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন এবং ভ্রুকুটি করে ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটতে থাকেন অসন্তোষের কথা বলতে বলতে।

তবে এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ম্যাচ-পরবর্তী সময়ে ক্যামেরা এবং কিছু দর্শক ধারণ করেন। বার্সার রাইভালরা এই ঘটনার ভুল ব্যাখ্যা করে দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে সংঘাত বলে তুলে ধরেন। তবে ফুটেজে স্পষ্টভাবেই দেখে গেছে — এই ঘটনা সতীর্থদের মধ্যকার বিরোধ ছিল না, বরং রেফারির প্রতি ক্ষোভ।

মন্তজুইকে শেষ পর্যন্ত রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা। এই ড্র বার্সার জন্য শুধু দুটি পয়েন্ট হারানোর চেয়েও অনেক বেশি কিছু রেখে গেছে। রিয়াল মাদ্রিদের থেকে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার হতাশা মাঠে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

Comments

The Daily Star  | English

Over 45 lakh cases pending in courts

Each HC judge is burdened with 6,552 cases, while Appellate Division judges are handling 4,446 cases each, and lower court judges 1,977 cases each.

1d ago