পেটের পীড়া নিয়ে খেলেছেন আলভারেজ

হুলিয়ান আলভারেজ যতক্ষণ মাঠে ছিলেন ততক্ষণ আক্রমণগুলো বেশ গোছালো ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের। একটি পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে এগিয়েও দেন এই আর্জেন্টাইন। কিন্তু তারপরও এক ঘণ্টা যেতেই তাকে বদল করেন কোচ দিয়েগো সিমিওনে। পরে সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাকে এতো দ্রুত বদলানোর কারণ।

ওয়ান্দা মেত্রোপলিতনে রোববার রাতে লা লিগার ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে ২-৪ ব্যবধানে হেরেছে অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। ৭০ মিনিট পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু এরপর ২০ মিনিটের ব্যবধানে চারটি গোল করে জয় নিশ্চিত করে কাতালান ক্লাবটি।

এমন পরাজয়ের পর আলভারেজকে উঠিয়ে দেওয়া নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা চলছে। সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আসে বিষয়টি। এর উত্তরে সিমিওনে বলেন, 'সে দুই দিন আগে খারাপ বোধ করেছিল, গতকাল জ্বর ছিল, আর আজ সকালে পেটের পীড়া হয়। আমি তাকে খেলানোর কথাই ভাবিনি।'

তবে আলভারেজের সঙ্গে কথা বলেন কোচিং স্টাফরা। আলভারেজ খেলতে পারবেন জানালেই তাকে মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নেন সিমিওনে। তবে তার বদলে ম্যাচে প্রভাব পড়েছে তা মানতে নারাজ এই কোচ, 'আমরা তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। সে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। তারপর সোরলথ নেমে ভালো পারফর্ম করেছে এবং গোলও করেছে।'

পরাজয়ের কারণ ব্যাখ্যা করে এই কোচ বলেন, 'আসল মুহূর্তগুলোতে আমাদের প্রতিপক্ষ দৃঢ়তা দেখানোর জন্য অভিনন্দন। দ্বিতীয় গোলটি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারিনি। ২-১ স্কোর বার্সেলোনাকে শক্তি, আত্মবিশ্বাস ও আক্রমণের গতি এনে দেয়। কিছু কাউন্টার অ্যাটাকে আমাদের আরও ভালোভাবে সামলানো উচিত ছিল, কিন্তু শেষ পাসটি সঠিকভাবে নির্বাচন করতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। ৩-২ গোলটি এক ধরনের সৌভাগ্যের শট থেকে এসেছে, যা খেলারই অংশ। বার্সেলোনায় আমরা জয় ও ড্র করেছি, আর আজ তারা জিতেছে।'

আর হারে নিজের ভুলও দেখছেন এই আর্জেন্টাইন কোচ, 'ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি হিমেনেজকে মাঠে নামাতে দেরি করেছি; তাকে আগেই আনা উচিত ছিল। দ্বিতীয় গোলটি আসে... তবে এটি নিশ্চিত নয় যে, সে থাকলে তা ঘটত না। শেষ মুহূর্তে দল শক্তি পায়নি এবং কাউন্টার অ্যাটাকে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেনি। বার্সেলোনা ভালো খেলেছে, অভিনন্দন তাদের।'

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

7h ago