ক্লাব বিশ্বকাপে না থাকায় '৫০ মিলিয়ন ইউরো' ক্ষতি বার্সার

ক্লাব বিশ্বকাপ সম্পর্কে কিছু দিন পরপর অনেক নতুন তথ্য দিচ্ছে ফিফা। আর প্রতিটি নতুন খবর যেন আরও বেশি অনুশোচনায় ভাসিয়ে দিচ্ছে বার্সেলোনাকে। কারণ নতুন আঙ্গিকে সাজানো ক্লাব বিশ্বকাপে এবার সুযোগ মিলেনি কাতালান ক্লাবটির। তাতে প্রায় ৫০ মিলিয়ন ইউরো হাতছাড়া হচ্ছে দলটির।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আগামী ১৪ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে ফিফার নতুন এই আসরটি। নতুন উদ্যোগে বিশ্ব ফুটবলের সব বড় দল অংশ নেবে, অথচ এই মৌসুমে যারা সবচেয়ে ভালো ফুটবল খেলছে, সেই দলটিই থাকবে দর্শক হয়ে। ১২৫ বছরের গৌরবময় ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও বার্সার জন্য এটি একটি বড় নৈতিক ও অর্থনৈতিক আঘাত।

প্রতিষ্ঠার মর্যাদা ও খ্যাতির দিক থেকে ৩২ দলের প্রথম সংস্করণে খেলার সুযোগ না পাওয়া কেবল খেলাধুলার দিক থেকে ব্যর্থতা নয়, বরং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বাজে পারফরম্যান্সের পরিণতি। অর্থনৈতিকভাবে, এটি এমন এক ক্ষতি, যা বার্সার দুর্বল বাজেটকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এই বিশ্বকাপ ফিফার নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ। ফুটবল এখন খেলার চেয়ে বেশি, বরং একটি বিলিয়ন ডলারের বাজারে পরিণত হয়েছে, এটা তারই প্রমাণ। টিভি স্বত্ব, টিকিট বিক্রি, অতিথি আপ্যায়ন এবং মার্চেন্ডাইজিং থেকে ফিফা এই প্রতিযোগিতা থেকে দুই বিলিয়ন ডলার আয় করবে।

আসরটি প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হবে এবং বিশ্বকাপের মতোই আকর্ষণীয় অর্থ পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে—যার পরিমাণ এক বিলিয়ন ডলার বা ৯২৮ মিলিয়ন ইউরো। উদাহরণস্বরূপ, শুধুমাত্র অংশগ্রহণ করলেই রিয়াল মাদ্রিদ ৩৫ মিলিয়ন ইউরো পাবে এবং শিরোপা জিতলে এই অঙ্ক পৌঁছাবে ১৪৫ মিলিয়নে। অন্যদিকে, বার্সার জায়গায় সুযোগ পাওয়া অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ কেবল গ্রুপ পর্বে খেলেই ২০ মিলিয়ন ইউরো অর্জন করবে এবং পরবর্তী পর্বে গেলে এ আয় বেড়ে হবে ৫০ মিলিয়ন ইউরো।

ইনফান্তিনোর "আমেরিকান ড্রিম" ফুটবলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস্কেটবল, বেসবল ও আমেরিকান ফুটবলের মতোই জনপ্রিয় করতে চায়। এই লক্ষ্যে মায়ামিতে একটি অফিস খুলেছে ফিফা। লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামিকে প্রতিযোগিতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং সুপার বোলের আদলে ফাইনালের হাফটাইমে কোল্ডপ্লের নেতৃত্বে এক বিশাল সংগীত আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে।

এটি স্পষ্ট যে, ক্লাবগুলোর খরচের ওপর নির্ভর করে বিলাসিতায় জীবনযাপন করছে ফিফা। তারা খেলোয়াড়দের বেতন দেয় না, তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই, অথচ খেলাধুলার ক্যালেন্ডার আরও ঠাসা করে তুলছে, যা ফুটবলারের শারীরিক সুস্থতার জন্য হুমকিস্বরূপ।

তাদের নতুন প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২০২৬ সালে নারী ক্লাব বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনাও রয়েছে, যেখানে বার্সার অংশগ্রহণ নিশ্চিত, কারণ তাদের অতুলনীয় সাফল্যের রেকর্ড। স্পন্সরদের তালিকাও বড় হচ্ছে, বিশেষ করে ২০৩৪ বিশ্বকাপ সৌদি আরবকে দেওয়ার পর। দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি আরামকো প্রতিবছর ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্পন্সরশীপ চুক্তি করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

CEC urges officials to ensure neutrality as polls preparations advance

He reiterates that the commission is advancing steadily with election preparations

1h ago