ক্লাব বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়লেন বেনজেমা

ছবি: এএফপি

রোমারিনহো ও এনগোলো কান্তের পর জাল খুঁজে নিলেন করিম বেনজেমা। এতেই ইতিহাসের পাতায় লেখা হয়ে গেল ৩৫ বছর বয়সী ফরাসি ফরোয়ার্ডের নাম। ক্লাব বিশ্বকাপে অনন্য কীর্তি গড়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর অভিনন্দনও পেলেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দার কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে আসরের প্রথম রাউন্ডে ৩-০ গোলে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটিকে হারিয়েছে আল ইত্তিহাদ। সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির হয়ে প্রথমার্ধের ৪০তম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করেন বেনজেমা। ফলে প্রথম ফুটবলার হিসেবে ক্লাব বিশ্বকাপের চার আসরে গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি।

এই নিয়ে ষষ্ঠবারের মতো ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিচ্ছেন অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার বেনজেমা। আগের পাঁচটি আসরে তিনি খেলেছিলেন স্প্যানিশ পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে। প্রতিবারই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০২২ সালের ক্লাব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রিয়াল।

স্মরণীয় অর্জনের জন্য বেনজেমাকে শুভকামনা জানিয়েছেন ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান ইনফান্তিনো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইন্সটাগ্রামে তিনি লিখেছেন, 'একজন কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের অবিশ্বাস্য একটি অর্জন। এই আসরে তোমার জন্য আমার সর্বোচ্চ শুভকামনা থাকল।'

আগামী শুক্রবার রাতে একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে নামবে আল ইত্তিহাদ। ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ থাকবে মিশরের ক্লাব আল আহলি। দ্বিতীয় রাউন্ডের আগের লড়াইয়ে মেক্সিকোর লিওন মুখোমুখি হবে জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডসের।

বরাবরের মতো এবারও সাতটি দল অংশ নিচ্ছে ক্লাব বিশ্বকাপে। ছয় মহাদেশের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবগুলোর সঙ্গে খেলছে আয়োজক দেশের একটি ক্লাব। ফাইনালসহ হবে মোট সাতটি ম্যাচ।

দলগুলো হলো ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার সিটি (২০২২-২৩ উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী), ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্সে (২০২৩ কোপা লিবার্তাদোরেসজয়ী), জাপানের উরাওয়া রেড ডায়মন্ডস (২০২২ এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী), মিশরের আল আহলি (২০২২-২৩ সিএএফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী), মেক্সিকোর লিওন (২০২৩ কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী), নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড সিটি (২০২৩ ওএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী) ও সৌদি আরবের আল ইত্তিহাদ (২০২২-২৩ সৌদি প্রো লিগজয়ী)।

Comments

The Daily Star  | English

Tk 2 for a day's labour: Prisons chief pushes to reform inmate pay

"This is why prison-made products are so cheap. But this also makes inmates lose interest in work"

22m ago