হামজাদের বিপক্ষে স্বস্তির জয়ে বছর শেষ করল সিটি
নিজেদের হারিয়ে খুঁজতে থাকা ম্যানচেস্টার সিটি অবশেষে পেল একটু স্বস্তি। ২০২৪ সাল তারা শেষ করল বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলার অনুমতি পাওয়া হামজা চৌধুরীর ক্লাবের বিপক্ষে জয় দিয়ে। সিটিজেনদের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পাওয়া সাভিনিয়ো অবদান রাখলেন আর্লিং হালান্ডের গোলেও।
রোববার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লেস্টার সিটির মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। প্রথমার্ধে তাদেরকে এগিয়ে দেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার সাভিনিয়ো। দ্বিতীয়ার্ধে সফরকারীদের পক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার হালান্ড।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ১৪ ম্যাচে ম্যান সিটির এটি মাত্র দ্বিতীয় জয়। আগের পাঁচ ম্যাচে তারা ছিল জয়হীন। তিনটি হারের পাশাপাশি ড্র করেছিল দুটিতে। লেস্টারের বিপক্ষে অচেনা হয়ে ওঠা জয় তুলে নিয়ে লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুই ধাপ এগিয়েছে তারা। ১৯ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অবস্থান আপাতত পাঁচ নম্বরে।
গোটা ম্যাচে বল দখলে পিছিয়ে থাকা সিটি গোলমুখে ১৪টি শট নিয়ে পাঁচটি রাখে লক্ষ্যে। অন্যদিকে, গোলমুখে লেস্টারের নেওয়া ১১টি শটের চারটি ছিল লক্ষ্যে। তবে দুর্ভাগ্যের শিকারও হয় স্বাগতিকরা। তাদের দুটি প্রচেষ্টা বাধা পায় পোস্টে।
২১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ম্যান সিটি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ফিল ফোডেনের নেওয়া শট ঠেকান লেস্টারের গোলরক্ষক। কিন্তু পুরোপুরি বিপদমুক্ত করতে পারেননি। আলগা বল বামদিক থেকে কোণাকুণি শটে জালে পাঠিয়ে উল্লাসে মাতেন সাভিনিয়ো। গত জুলাইয়ে সিটিতে যোগ দেওয়ার পর নতুন ঠিকানায় এটি তার প্রথম গোল।
বিরতির আগে সমতায় ফিরতে পারত লেস্টার। ৩৯তম মিনিটে ফাকুন্দো বুনানোত্তের হেড আটকে যায় পোস্টে। বিরতির পরও শুরু থেকেই আক্রমণ শানাতে থাকে লেস্টার। কিন্তু ৬২তম ফের হতাশ হতে হয় তাদের। গোললাইন থেকে বল বিপদমুক্ত করেন সিটির ডিফেন্ডার মানুয়েল আকাঞ্জি।
৭৪তম মিনিটে দারুণ একটি আক্রমণের সফল সমাপ্তি ঘটে হালান্ডের কল্যাণে। বামদিকে কেভিন ডি ব্রুইনার পাসে বল পাওয়া সাভিনিয়ো ডি-বক্সের ভেতরে ক্রস করেন ডানদিকে। লাফিয়ে উঠে হেড করে লক্ষ্যভেদ করেন হালান্ড। প্রিমিয়ার লিগের চলমান মৌসুমে ১৪টি গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় দুইয়ে আছেন তিনি। শীর্ষে অবস্থান করা লিভারপুলের মোহামেদ সালাহর গোল ১৬টি।
এর চার মিনিট আগে মাঠে নামেন হামজা। বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন তিনি। আশা করা হচ্ছে, আগামী বছরের মার্চে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে লাল-সবুজ জার্সিতে তাকে খেলতে দেখা যাবে।
বাকি সময়ে চেষ্টা করলেও ম্যাচে ফেরার অবস্থা তৈরি করতে পারেনি লেস্টার। লিগের অবনমন অঞ্চল থেকে তাই বের হতে পারেনি তারা। ১৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান পয়েন্ট তালিকার ১৮ নম্বরে।
Comments