দলের কথা ভেবেই পেনাল্টি ছেড়েছেন এমবাপে, দাবি কোচের

কিলিয়ান এমবাপে কী পেনাল্টি নিতে ভয় পাচ্ছিলেন? নাকি নিজের উপর আত্মবিশ্বাস নেই। সংবাদ সম্মেলনে এমনভাবেই করা হলো প্রশ্নটা। তবে কার্লো আনচেলত্তি পাশে দাঁড়ালেন তার শিষ্যের পক্ষেই। দলের কথা ভেবে এমবাপে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেন এই ইতালিয়ান কোচ।

চোটের কারণে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র না থাকায় রিয়াল মাদ্রিদের প্রথম পেনাল্টি টেকার এখন এমবাপেই। কিন্তু তারপরও গত শনিবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে লা লিগার ম্যাচে গেতাফের বিপক্ষে পেনাল্টি পেলে তা নিজে না নিয়ে জুড বেলিংহ্যামকে দেন এই ফরাসি। ম্যাচ তখন গোলশূন্য সমতায় ছিল।

তাতেই আলোচনা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে। কারণ এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের সবশেষ ম্যাচে লিভারপুলের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার পর পেনাল্টি পেয়েছিল রিয়াল। যা থেকে গোল আদায় করতে পারেননি এমবাপে। শেষ পর্যন্ত সেদিন হেরেই যায় রিয়াল। তখন গোলটি করতে পারলে হয়তো ভিন্ন ফলও হতে পারতো। ম্যাচশেষে ড্রেসিংরুমে তাকে বিধ্বস্ত অবস্থাতেই দেখা গিয়েছিল।

অ্যাথলেতিক বিলবাওর বিপক্ষে নামার আগে সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে সেই প্রসঙ্গ। তবে শিষ্যের পক্ষে ঢাল ধরে কোচ আনচেলত্তি বলেন, 'এখানে বিতর্কের কিছু নেই। এর দুটি দিক রয়েছে। গেতাফের বিপক্ষে এমবাপে যা করেছে, আপনি এটিকে তার জড়তা হিসাবে দেখতে পারেন, অথবা আপনি এটিকে আমাদের মতো দেখতে পারেন, যা হল দায়িত্ব।'

'এটা দলগত স্বার্থ এগিয়ে রাখার মত একটি কাজ। সে অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন একজন খেলোয়াড়। সে হয়ত ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিভা হতে পারে, তবে ব্যক্তিগতভাবে দলকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে, আমি এটাকে অনেক মূল্যবান বলে মনে করি,' যোগ করেন এই ইতালিয়ান কোচ।

নিজের সামর্থ্যের প্রতি বিশ্বাসের ঘাটতি কি-না জানতে চাইলে আবারও এই কোচ বলেন, 'আমি ব্যাপারটা সেভাবে দেখি না। ড্রেসিংরুমে এটা দলের জন্যই, তার সতীর্থদের জন্য, আমাদের সবার জন্যই বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটা আগেই বলেছি, আমরা তার এই কাজের মূল্য দিই। দলের প্রতি নিবেদনের এটা একটা দুর্দান্ত নজির।'

চলতি মৌসুমের শুরুতে রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেওয়ার পর এখনও সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না এমবাপে। যদিও নিজের পছন্দের পজিশনে খেলতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত ১০টি গোল এসেছে তার কাছ থেকে।   

Comments

The Daily Star  | English
Injured protesters rehabilitation Bangladesh

Injured uprising victims: Compensation caught up in red tape

Crippled and blinded, many July uprising protesters continue to suffer. The one-time assistance -- Tk 5 lakh for martyrs’ families and Tk 1 lakh for the wounded -- that was promised to them soon after the incumbent took over remains entangled in an utterly bureaucratic procedure.

9h ago