কলম্বিয়ায় 'তীব্র গরম'ও প্রতিপক্ষ ছিল আর্জেন্টিনার

একে তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রীর কাছাকাছি। তার উপর খেলা হয়েছে রীতিমতো দুপুরে। কলম্বিয়ার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ৩টায় শুরু হয় ম্যাচটি। ফলে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করেছেন দুই দলের খেলোয়াড়রাই। বিশেষকরে আর্জেন্টাইনদের। যার স্পষ্ট প্রভাবই পড়েছে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে। যদিও বিষয়টিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় না করালে তার প্রভাব রয়েছে বলে জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি।

মঙ্গলবার রাতে রবার্তো মেলেন্দেজ মেত্রোপলিতন স্টেডিয়ামে ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে ১-২ গোলে হেরেছে আর্জেন্টিনা। ইয়ের্সন মসকেরা স্বাগতিকদের এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন নিকোলাস গঞ্জালেজ। এরপর সফল স্পটকিকে ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দেন হামেস রদ্রিগেস। প্রথম গোলের অ্যাসিস্টও করেন তিনি।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টসের সংবাদ অনুযায়ী, ম্যাচ চলাকালীন স্থানীয় তাপমাত্রা ৩১ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করেছে। এছাড়া বাতাসে আর্দ্রতাও ছিল ১০০ শতাংশের কাছাকাছি। ফলে শ্বাসরুদ্ধকর পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। যদিও শ্বাস নিতে সমস্যা হয়েছে দুই দলের খেলোয়াড়দেরই। তবে ভুগেছে বেশি আর্জেন্টাইন খেলোয়াড়রাই।

বর্তমান সময়ে কলম্বিয়ার গরম নিয়ে আগেই কথা বলেছিলেন আর্জেন্টাইন কোচ স্কালোনি, 'আমরা এমন একটি জায়গায় যাচ্ছি যেখানে খুব গরম এবং আমরা এমন একটি সময়ে খেলতে যাচ্ছি যেটি আমার মনে হয় উচিত নয়। তবে তারা (কনমেবল) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি বলছি না যে এটাতে একটি বা অন্যদের সুবিধা আছে।'

এদিন ম্যাচ শেষেও গরম নিয়ে কথা বলেছেন আর্জেন্টাইন কোচ, 'কলম্বিয়ার মানুষ গরম নিয়ে আমার কথা বলাটা পছন্দ করেনি। তবে আমি শুধু গরম নিয়েই কথা বলিনি, ম্যাচের সময় নিয়েও কথা বলেছি। সময়টা দর্শকদের খেলা দেখার জন্যও অনুকূলে ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধে এমন খেলাও হয়নি যা পছন্দ করবে লোকে। বিকেল ৫টা, ৬টা কিংবা ৭টায় খেলতে পারতেন। আমার মনে হয় না এমন (বেলা সাড়ে ৩টা) সময়ে ম্যাচ ফুটবলারদের সামর্থ্য দেখানোর জন্য উপযুক্ত।'

তবে গরম নিয়ে কথা বলেছিলেন কলম্বিয়ার কোচ নেস্তর লরেঞ্জোও, 'আমাদের খেলোয়াড়রাও আর্জেন্টিনার মতোই ইউরোপে খেলছে। তবে হ্যাঁ, এটা নতুনত্ব নয় যে আপনি গরম অনুভব করছেন। এটি একটি ম্যাচ, এটি উপভোগ করুন এবং তাপমাত্রা দ্বারা উত্পন্ন এই অসুস্থতাকে উত্সাহিত করবেন না।'

Comments

The Daily Star  | English
compensation for uprising martyrs families

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

4h ago