বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আবারও হারল ব্রাজিল
আগের ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারিয়ে দুঃসময়ের ইতি টানার সম্ভাবনা দেখিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু চার দিনের ব্যবধানে ফের হতাশায় ডুবল দরিভাল জুনিয়রের দল। বিবর্ণ পারফরম্যান্সে প্যারাগুয়ের কাছে হেরে গেল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
বুধবার সকালে ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে ১-০ গোলে হেরেছে ব্রাজিল। স্বাগতিকদের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন দিয়েগো গোমেজ।
বাছাইয়ে সবশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি সেলেসাওদের চতুর্থ হার। গত শনিবার ঘরের মাঠে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জেতার আগে টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছিল তারা। সেগুলোতে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া ও উরগুয়ে।
ম্যাচের আগে ব্রাজিলের কোচ দরিভাল বলেছিলেন, 'আমরা আবারও লড়াকু দল হয়ে উঠব। এই ব্যাপারে কোনো সংশয় নেই। আমরা ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলব। আমি ১০০ ভাগ নিশ্চিত। আমার কথাটা মনে রাখুন।' তবে পারফরম্যান্সের বেহাল দশায় ওই আসরে জায়গা করে নেওয়ার পথই কঠিন হয়ে যাচ্ছে তাদের।
বল দখলে অনেক ব্যবধান রেখে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু তাদের আক্রমণে ছিল না কাঙ্ক্ষিত তেজ। ম্যাচের ৭২ শতাংশ সময় বল পায়ে রেখে গোলমুখে নয়টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে তারা। অন্যদিকে, গোলের জন্য সাতটি শট নেওয়া প্যারাগুয়ে দুটি ছিল লক্ষ্যে।
স্বাগতিক দল প্রথমার্ধের ২০তম মিনিটে পেয়ে যায় গোল। গ্যাব্রিয়েল হেডে বল ক্লিয়ার করার পর তা ডি-বক্সের বাইরে গোমেজের কাছে যায়। তাকে সেভাবে বাধা দেননি কেউ। সেই সুযোগে বল সুবিধাজনক জায়গায় নিয়ে জোরালো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি।
ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অনেক সময় পেলেও সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় সফরকারীরা। রিয়াল মাদ্রিদদের তিন ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, রদ্রিগো ও এন্দ্রিককে নিয়ে সাজানো আক্রমনভাগ ছিল ছন্নছাড়া। তাদের মধ্যে বোঝাপড়ার ঘাটতি লক্ষ করা যায়।
প্রথমার্ধ শেষে ধুঁকতে থাকা এন্দ্রিককে মাঠ থেকে তুলে নেওয়া হয়। গত রাউন্ডে ইকুয়েডরের বিপক্ষে জয়ের নায়ক রদ্রিগো বদলি হন ৭৯তম মিনিটে। আর পুরো ম্যাচ খেললেও নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি ভিনিসিয়ুস।
ব্রাজিল সমতায় ফেরার খুব কাছে অবশ্য গিয়েছিল ২৫তম মিনিটে। ভিনিসিয়ুসের কাটব্যাকে ডি-বক্সে বল পেয়ে দূরের পোস্টে শট নেন অরক্ষিত গিলিয়ের্মে আরানা। প্যারাগুয়ের গোলরক্ষক গাতিতো ফার্নান্দেজের কিছুই করার না থাকলেও গোললাইন থেকে বল ফিরিয়ে দেন ডিফেন্ডার জুনিয়র আলোনসো।
শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে বাঁধনহারা উল্লাসে মেতে ওঠেন প্যারাগুয়ের ফুটবলাররা। গ্যালারিতেও ছিল তীব্র উল্লাস। আর সেটা হবে না কেন! ২০০৮ সালের পর ব্রাজিলের বিপক্ষে এটিই তাদের প্রথম জয়।
আট ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইয়ের পয়েন্ট তালিকায় পাঁচে নেমে গেছে ব্রাজিল। সমান ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাতে উঠে এসেছে প্যারাগুয়ে। এই রাউন্ডের আগের ম্যাচে কলম্বিয়ার কাছে হারলেও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আর্জেন্টিনা। তাদের অর্জন ১৮ পয়েন্ট। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে কলম্বিয়া।
Comments