আর্জেন্টিনায় মেসির পর এবার দি মারিয়াকে দুর্বৃত্তদের হুমকি

ছবি: রয়টার্স

২০২৩ সালের মার্চে আর্জেন্টিনার রোসারিও শহরে লিওনেল মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জোর পরিবারের মালিকানাধীন একটি সুপারমার্কেটে গুলি চালানো হয়েছিল। পাশাপাশি এক টুকরো কাগজ ফেলে গিয়েছিল দুর্বৃত্তরা, সেখানে মেসিকে হুমকি দিয়ে বার্তা লেখা ছিল। এক বছরের ব্যবধানে সেই রোসারিওতেই এবার আরেক আর্জেন্টাইন ফুটবলার আনহেল দি মারিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা পেলেন হত্যার হুমকি।

বর্তমানে পর্তুগালের বেনফিকায় খেলেন বিশ্বকাপজয়ী দি মারিয়া। ক্লাবটির সঙ্গে ৩৬ বছর বয়সী তারকার চুক্তি রয়েছে আগামী জুন পর্যন্ত। সম্প্রতি তিনি গুঞ্জন উঠেছে, তিনি ফিরতে পারেন ছেলেবেলার ক্লাব রোসারিও সেন্ত্রালে। সেখানে খেলেই ইতি টানতে চান ফুটবল ক্যারিয়ারের। এই জল্পনা-কল্পনার মধ্যেই হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে তাকে।

২০০৫ সালে রোসারিও থেকেই দি মারিয়া পাড়ি জমিয়েছিলেন ইউরোপে। বেনফিকা থেকে রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি ও জুভেন্তাস ঘুরে গত বছরের জুলাইয়ে আবার বেনফিকায় ফেরেন তিনি।

অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা চিরকুটে বার্তা পাঠিয়ে দি মারিয়াকে রোসারিওতে ফিরতে নিষেধ করেছে। আর্জেন্টিনায় গেলে তিনি সাধারণত যে এলাকায় থাকেন, সেখানেই সোমবার ভোরে একটি গাড়ি থেকে একটি কাগজ ছুঁড়ে ফেলা হয়।

আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ওই কাগজে হুমকি দিয়ে লেখা ছিল, 'তোমাদের ছেলে আনহেলকে বলো রোসারিওতে আর ফিরে না আসতে। নইলে আমরা তোমাদের পরিবারের একজন সদস্যকে খুন করব। এমনকি (প্রাদেশিক গভর্নর ম্যাক্সিমিলিয়ানো) পুয়ারোও তোমাদের বাঁচাতে পারবে না। আমরা শুধু চিরকুট ফেলে যাই না, বুলেট আর লাশও ফেলে যাই।'

মেসি-দি মারিয়ার জন্মস্থান হিসেবে রোসারিওর যেমন পরিচিতি আছে, তেমনি কুখ্যাতিও আছে। সান্তা ফে প্রদেশের শহরটিতে মাদক সংক্রান্ত সহিংসতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে হুমকির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আর্জেন্টাইন পুলিশ।

এর আগে দি মারিয়ার জাতীয় দলের সতীর্থ মেসিকে পাঠানো চিরকুটে লেখা হয়েছিল, 'মেসি, আমরা তোমার অপেক্ষায় আছি। (রোসারিওর মেয়র পাবলো) ইয়াভকিন একজন মাদক চোরাচালানকারী। সে তোমাকে দেখে রাখতে পারবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Not for kidney patient, they tried to rob bank for iPhones

Police say three robbers fabricated a story claiming that the robbery was to save a kidney patient

56m ago