এশিয়ান কাপের শিরোপা কাতারেরই, তিন পেনাল্টিতে আফিফের হ্যাটট্রিক

ছবি: এএফপি

আগেরবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কাতার। এবার আয়োজক হিসেবে ২০২৩ এএফসি এশিয়ান কাপের শিরোপা জিতল তারা। দলটির ট্রফি ধরে রাখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেন ফরোয়ার্ড আকরাম আফিফ। তিনটি সফল পেনাল্টিতে হ্যাটট্রিক পূরণের মাধ্যমে তিনি ঠাঁই নিলেন ইতিহাসে।

শনিবার লুসাইল স্টেডিয়ামে এশিয়া মহাদেশের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে কাতার। জমজমাট ফাইনালে তারা জর্ডানকে হারিয়েছে ৩-১ গোলে। কাতারের হয়ে প্রথমার্ধে একবার ও দ্বিতীয়ার্ধে দুবার জাল খুঁজে নেন আফিফ। সবগুলো গোলই তিনি করেন স্পট-কিক থেকে। মাঝে ইয়াজান আল-নিয়ামাত জর্ডানকে সমতায় ফেরালেও তা শেষমেশ যথেষ্ট হয়নি।

এশিয়ান কাপের ফাইনালে প্রথম ফুটবলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করে রেকর্ড গড়েছেন আফিফ। শুধু তাই নয়। এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার দুটিও জিতে নিয়েছেন তিনি। সব মিলিয়ে তিনি করেছেন ৮ গোল।

চমক জাগিয়ে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠা জর্ডান রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকল। অন্যদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো কাতার। গত আসরের ফাইনালেও তারা একই ব্যবধানে হারিয়েছিল প্রতিযোগিতার সফলতম দল জাপানকে।

এশিয়ান কাপের এই আসরটি শুরুতে চীনে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের অক্টোবরে ভেন্যু পাল্টে কাতারকে স্বাগতিক দেশ ঘোষণা করা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে আসরটি মাঠে গড়ানোর সূচি থাকলেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তা এই বছর আয়োজিত হলো।

পঞ্চম দল হিসেবে এশিয়ান কাপের শিরোপা একাধিকবার জিতল কাতার। সর্বোচ্চ চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাপান। সৌদি আরব ও ইরান তিনবার করে শিরোপার স্বাদ নিয়েছে। কাতারের মতো দক্ষিণ কোরিয়াও দুবার ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছে।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

12h ago