চাপ এড়াতে বার্সায় যোগ দেননি মেসি, বললেন জাভি

ছবি: এএফপি

লিওনেল মেসি যেখানেই খেলবেন, সেখানেই থাকবেন আলোচনা ও মনোযোগের কেন্দ্রে। আর এটা তার জন্য চাপের কারণও হয়ে দাঁড়ায় অনেক সময়। সেই চাপ এড়াতে চেয়েছেন বলেই আর্জেন্টাইন তারকা বার্সেলোনায় ফেরেননি বলে মনে করেন দলটির কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তবে মেসির সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার কথাও জানান তিনি।

মেসির বাবা ও এজেন্ট হোর্হে মেসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল বার্সার। কিন্তু স্প্যানিশ ক্লাবটির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়া হয়নি বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলারকে। দুই বছর আগে ক্যাম্প ন্যু ছাড়ার তিক্ত অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি আর অপেক্ষায় থাকতে চাননি। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে লা পুল্গা নাম লিখিয়েছেন মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মায়ামিতে।

মেসির এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেন জাভি।  যুক্তরাষ্ট্রের লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং সার্ভিস টুইচে তিনি বলেন, '(পিএসজিতে) এই দুটি বছর তার ভালো কাটেনি এবং এখন সে সেই ধরনের চাপ আর নিতে চায় না। এটা একটা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং বর্তমান পরিস্থিতিও আমাদের সাহায্য করেনি। তবে এটা লিওর সিদ্ধান্ত এবং আমাদেরকে তা সম্মান করতে হবে, সে ইতিহাসের সেরা।'

গত কয়েক মাস ধরে সাবেক ক্লাব সতীর্থ মেসির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছিল জাভির। তবে শেষ কয়েক দিনে তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন লক্ষ করেন বার্সা কোচ, 'হয়তো সে ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে দেখতে পারেনি এবং আমাদের সেটাকে সম্মান দেখাতে হবে- অনেক সময় আমরা আরেকজনের দিক থেকে ভেবে দেখি না, আমাদের সহানুভূতির অভাব থাকে এবং লিওর অবস্থানে থাকা কোনো সহজ ব্যাপার না। মেসির অবস্থা ভেবে দেখুন, যে পরিমাণ মনোযোগ তার ওপর থাকে, সে কখনোই নির্ভার থাকতে পারেনি, তাকে নিখুঁত আচরণ করতে হয়, তাকে মাঠে নিখুঁত থাকতে হয়, প্রতিটি দিক থেকেই তাকে সেরা হতে হয়।'

জাভির মতে, বার্সেলোনায় ফিরলে মেসির ওপর প্রত্যাশার চাপ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাত, 'প্রচুর সময় এমন ঘটে যে আপনি কোনো কিছু চান কিন্তু পরিস্থিতি আপনাকে সাহায্য করে না। সে খুব ভালোভাবে সবকিছু ব্যাখ্যা করেছে। সে তার ওপর থাকা চাপ কমাতে চায় এবং যদি সে এখানে ফিরত, তাহলে তার জন্য চাপ বেড়ে দশে দশ হয়ে যেত।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles; properties vandalised

3h ago