সৌদি লিগে খেলা চালিয়ে যাবেন রোনালদো

ছবি: এএফপি

সৌদি আরবে প্রথম মৌসুম খালি হাতে শেষ করতে হয়েছে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে। আল নাসরের হয়ে কোনো শিরোপা জিততে পারেননি তিনি। প্রত্যাশিত দলীয় সফলতা না পেলেও সেখানে সুখে আছেন পর্তুগিজ মহাতারকা। সৌদিতে খেলা চালিয়ে যাওয়ার নিশ্চয়তাও দিলেন ৩৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

রোনালদো যখন সৌদিতে পাড়ি জমান, তখন তিনটি শিরোপা জয়ের সুযোগ ছিলে আল নাসরের সামনে। প্রো লিগের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিল তারা। এছাড়া, কিংস কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ও সুপার কাপের সেমিফাইনালে অবস্থান ছিল তাদের। পাঁচবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী রোনালদোকে পেয়ে আল নাসর সুযোগ কাজে লাগাবে বলে প্রত্যাশা করে হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেটা ঘটেনি। কিংস কাপ ও সুপার কাপ থেকে ছিটকে পড়ার পর প্রো লিগে দ্বিতীয় হয়েছে ক্লাবটি। যদিও সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে রোনালদো করেন ১৪ গোল।

সম্প্রতি রোনালদোর আল নাসর ছেড়ে নিউক্যাসল ইউনাইটেডে যাওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটিও সৌদি মালিকানাধীন। আগামী মৌসুমের উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নিয়েছে তারা। তবে জল্পনা-কল্পনায় জল ঢেলে সৌদিতে থাকার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রোনালদো।

প্রো লিগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পর্তুগিজ ফুটবলার বলেছেন, 'আমি এখানে সুখে আছি। আমি এখানে খেলা চালিয়ে যেতে চাই। আমি এখানে খেলা চালিয়ে যাব।'

সৌদি লিগকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখছেন তিনি, 'আমার মতে, তারা যদি এখানে সেই কাজটা করতে পারে যেটা তারা করতে চায়, তাহলে আগামী পাঁচ বছরে, আমি মনে করি, সৌদি লিগ বিশ্বের সেরা পাঁচটি লিগের একটি হবে।'

এবারের মৌসুমের হতাশা ঝেড়ে আগামী মৌসুমে শিরোপা জিততে মুখিয়ে আছেন রোনালদো, 'এই বছর আমি কিছু একটা জেতার প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আমরা পারিনি। আমি সত্যিই আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী যে আগামী বছর পরিস্থিতি বদলে যাবে এবং আমরা আরও ভালো করব।'

গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে আল নাসরে যোগ দেন রোনালদো। সৌদি প্রো লিগের ক্লাবটির সঙ্গে আড়াই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ আছেন তিনি। এই চুক্তির মাধ্যমে আর্থিকভাবে তার প্রচুর লাভবান হওয়ার কথা জানা গেছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, রোনালদোর পকেটে ঢুকবে ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর বেশি।

Comments

The Daily Star  | English

Trump won't say if US will strike Iran, but says it's 'late to be talking'

Israel army says struck Iran centrifuge production, weapons manufacturing sites

1d ago