২২ বছর বয়সেই সাফজয়ী নারী ফুটবলারের আচমকা অবসর

ছবি: বাফুফে

বয়স মাত্র ২২ বছর। পেশাদার ক্যারিয়ারের প্রায় পুরো সময়টাই সামনে পড়ে আছে। অথচ আচমকা সব ধরনের ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন সিরাত জাহান স্বপ্না। গত সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের শিরোপা জয়ের পথে তার ছিল বড় অবদান।

শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন স্বপ্না। বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দলের আক্রমণভাগের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ফাইনালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেয়েরা। যৌথভাবে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চার গোল করেছিলেন স্বপ্না। ক্লাব পর্যায়ে গত মৌসুমে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে খেলেছিলেন তিনি।

অবসরের পেছনে কোনো কারণ উল্লেখ না করে স্বপ্না লিখেছেন, 'আমি নিজ ইচ্ছায় পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নিলাম। প্রায় আট বছর পেশাদার ফুটবল খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। ফুটবল ক্যারিয়ারে আসার পর আমি অনেক কিছু পেয়েছি। সব কিছুর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই মহান আল্লাহ তায়ালার প্রতি। খেলার সুবাদে অনেকের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছে। তাই জেনে বা না জেনে যদি কারো মনে কষ্ট দিয়ে থাকি, দয়া করে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।'

এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য স্বপ্নার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে এর আগে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টানেন আনুচিং মোগিনি ও সাজেদা খাতুন। তাদের পথই অনুসরণ করেছেন স্বপ্না। তবে ভবিষ্যৎ সূচি সামনে রেখে আয়োজিত মেয়েদের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর আনুচিং ও সাজেদা অবসরের সিদ্ধান্ত নিলেও স্বপ্না ক্যাম্পেই ছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, খেলতে না পারার হতাশা থেকেই স্বপ্নার এই হঠাৎ অবসর। সাফের শিরোপা জেতার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ নারী জাতীয় ফুটবল দল। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কম্বোডিয়া ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দিলেও তাদের কথার সঙ্গে বাস্তবের মিল পাওয়া যায়নি।

কয়েকজন ফুটবলার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য নারী লীগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছিলেন। কিন্তু প্রস্তাবিত নারী সুপার লিগকে বিবেচনায় নিয়ে সেগুলো প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। বাফুফে জানিয়েছিল, ১৫ মে থেকে শুরু হবে দেশের ফুটবলের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক নারী লিগ। তবে সেটা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। আসরটি কবে মাঠে গড়াতে পারে তা নিশ্চিত করতে পারেননি বাফুফের কর্মকর্তারা।

Comments

The Daily Star  | English
July uprising and the rise of collective power

July uprising and the rise of collective power

Through this movement, the people of Bangladesh expressed their protest using a language shaped by long-standing discontent.

11h ago