এবার রিয়ালকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠার হুঙ্কার বার্নার্দোর
গত মৌসুমে খুব কাছে পৌঁছেও হৃদয় ভেঙেছিল ম্যানচেস্টার সিটির। তাদেরকে বিস্ময় আর হতাশায় ডুবিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এবারও আসরের একই পর্যায়ে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে দুই পরাশক্তি। তবে এই দফায় রিয়ালকে হারাতে আত্মবিশ্বাসী সিটির পর্তুগিজ মিডফিল্ডার বার্নার্দো সিলভা।
গতকাল বুধবার রাতে আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বায়ার্ন মিউনিখের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ১-১ গোলে স্বাগতিকদের সঙ্গে ড্র করেছে ম্যান সিটি। ফলে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-১ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠেছে তারা। প্রথম লেগে নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে জার্মান বুন্দেসলিগার শিরোপাধারীদের ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল ক্লাবটি।
ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের শিরোপা এখনও অধরা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ম্যান সিটির। তারকাখচিত দল নিয়েও বারবার ব্যর্থতা সঙ্গী হয়েছে তাদের। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে এবারের মৌসুমে তারা পেয়েছে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ রিয়ালকে, যারা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ১৪ বারের শিরোপাধারী। এই প্রতিযোগিতার বর্তমান চ্যাম্পিয়নও স্প্যানিশ লা লিগার জায়ান্টরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গত আসরের সেমিতেও পরস্পরকে মোকাবিলা করেছিল সিটি ও রিয়াল। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ ব্যবধানের অগ্রগামিতায় সিটিকে ছিটকে দিয়ে শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে জায়গা করে নিয়েছিল রিয়াল। অথচ দ্বিতীয় লেগের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিট পর্যন্ত ৫-৩ গোলে এগিয়ে ছিল সিটিজেনরা। এরপর রদ্রিগোর দুই মিনিটের দুই গোলে নাটকীয় কায়দায় সমতা টানে কোচ কার্লো আনচেলত্তির দল। আর অতিরিক্ত সময়ে লক্ষ্যভেদ করে লস ব্লাঙ্কোদের ফাইনালের টিকিট পাইয়ে দেন করিম বেনজেমা।
প্রতিশোধ নেওয়ার মঞ্চ প্রস্তুত কোচ পেপ গার্দিওলার দলের সামনে। বায়ার্নকে বিদায়ের পর তাদের তারকা ফুটবলার বার্নার্দো প্রতিপক্ষ রিয়ালের উদ্দেশ্যে দিয়েছেন হুঙ্কার। তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'আমরা নিশ্চিতভাবেই এটার (ফাইনালে ওঠা) জন্য খেলতে নামব। আমরা সব সময়ই এটার জন্য (সর্বোচ্চ) চেষ্টা করি। তবে এই মুহূর্তে আমাদের দল খুবই, খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমার মনে হয়, আমরা (ফাইনালে) উঠব।'
এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি নিশ্চিত করেছে ম্যান সিটি। তাদের আগে এই কীর্তি কেবল দুটি ইংলিশ ক্লাবের। তারা হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।
Comments