মেসি পিএসজি ছাড়লে শূন্যস্থান পূরণ করতে পারেন যারা

ছবি: সংগৃহীত

লিওনেল মেসির পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জন সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জোরালো হচ্ছে। সেটা বাস্তবে রূপ নিলে আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা তারকার শূন্যস্থান কীভাবে পূরণ করবে ক্লাবটি? ইতোমধ্যে তারা সেই ভাবনা শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ফরাসি গণমাধ্যম লা প্যারিসিয়েন।

মেসির সঙ্গে পিএসজির দুই বছরের বর্তমান চুক্তি শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। ফরাসি লিগ ওয়ানের শিরোপাধারীদের সুযোগ রয়েছে তার সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানোর। ২০২১ সালের অগাস্টে যখন মেসি স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে পাড়ি জমান, তখন চুক্তিপত্রে এমন শর্তের উল্লেখ ছিল। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ অনুসারে, দুই পক্ষের মধ্যকার আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছে তারা।

মেসিকে ছাড়াই আগামী ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য পরিকল্পনা আঁটছে পিএসজি বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে লা প্যারিসিয়েন। রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি'অর জয়ী ফরোয়ার্ডের শূন্যতা পূরণে দুটি নাম আছে ক্লাবটির ভাবনার শীর্ষে। তারা হলেন নাপোলি স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমেন ও এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের ফরোয়ার্ড হন্দাল কোলো মুয়ানি।

তিন দশকের বেশি সময় পর ইতালিয়ান সিরি আর শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে আছে নাপোলি। সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকায় আছেন ২৪ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান ওসিমেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩০ ম্যাচে ২৫ গোল করেছেন তিনি।

আর জার্মান বুন্দেসলিগায় ফ্রাঙ্কফুর্টের অবস্থান সাতে। তাদের হয়ে ঝলমলে ফর্মে আছেন ২৪ বছর বয়সী ফরাসি কোলো মুয়ানিও। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচে ২০ গোল ও ১৪ অ্যাসিস্ট আছে তার নামের পাশে।

পিএসজি ছাড়ার গুঞ্জনের মধ্যে মেসির বার্সাতে ফেরার সম্ভাবনার কথাই জোরেশোরে আলোচিত হচ্ছে। বয়সভিত্তিক পর্যায় ও মূল দল মিলিয়ে তিনি ২০ বছরের বেশি সময় ছিলেন কাতালানদের ডেরায়। তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা যে সত্যি তা স্বীকার করেছেন বার্সেলোনার সহ-সভাপতি রাফা ইয়ুস্তে। ক্লাবটির সভাপতি হুয়ান লাপোর্তাও মেসিকে ফেরানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

উল্লেখ্য, পিএসজিতে নাম লেখানোর পর সব মিলিয়ে ৬৯ ম্যাচে ৩১ গোল ও ৩৩ অ্যাসিস্ট করেছেন মেসি। এর মধ্যে এবারের মৌসুমে ৩৫ ম্যাচে করেছেন ২০ গোল ও ১৮ অ্যাসিস্ট। নতুন ক্লাবে প্রথম মৌসুমটা তার একদম ভালো কাটেনি। ৩৪ ম্যাচ খেলে করেছিলেন কেবল ১১ গোল।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

17h ago