১০ জনের সিটির সঙ্গেও পারত না লিভারপুল, মত ক্লপের

প্রতিপক্ষের মাঠে আগে গোল করলেও বেশিক্ষণ চালকের আসনে থাকা হয়নি লিভারপুলের। আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে একে একে চার গোল হজম করে তারা।
ক্লপ। ছবি: এএফপি

শুরুর উল্লাস শেষে রূপ নিল গভীর বিষাদে। ম্যানচেস্টার সিটির দাপুটে পারফরম্যান্সের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজই দেখাতে পারল না লিভারপুল। বড় ব্যবধানে হারের পর তাদের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের কণ্ঠে শোনা গেল রাজ্যের হতাশা।

গতকাল শনিবার রাতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লিভারপুলকে উড়িয়ে দিয়েছে আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা জিতেছে ৪-১ গোলে। তাদের হয়ে জাল খুঁজে নেন হুলিয়ান আলভারেজ, কেভিন ডি ব্রুইনে, ইল্কাই গুন্দোয়ান ও জ্যাক গ্রিলিশ। সিটির গোল উৎসবের আগে অলরেডদের এগিয়ে দিয়েছিলেন মোহামেদ সালাহ।

ম্যাচের ১৭তম মিনিটে লিড নেয় ক্লপের দল। ট্রেন্ট অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের উঁচু করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন দিয়োগো জোতা। সিটির মানুয়েল আকাঞ্জির কারণ শটে নিতে পারেননি তিনি। তবে বল রাখেন নিয়ন্ত্রণে। এরপর মিশরীয় ফরোয়ার্ড সালাহ এগিয়ে গিয়ে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। প্রতিপক্ষের মাঠে আগে গোল করলেও বেশিক্ষণ চালকের আসনে থাকা হয়নি লিভারপুলের। আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে ব্যর্থ হয়ে একে একে চার গোল হজম করে তারা।

ম্যান সিটি নিজেদের ভাগ্যবান ভাবতে পারে প্রথমার্ধে রদ্রি সম্ভাব্য লাল কার্ড না দেখায়। ৩৩তম মিনিটে জোতাকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন তিনি। দুই মিনিটের ব্যবধানে তিনি বাজে কায়দায় ফেলে দেন কোডি গাকপোকে। তবে লিভারপুলের ফুটবলারদের জোরালো আবেদন সত্ত্বেও স্প্যানিশ মিডফিল্ডারকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি।

ক্লপের মতে, গার্দিওলার দল ১০ জনে পরিণত হলেও লিভারপুল তাদের সঙ্গে পেরে উঠত না। ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, 'রদ্রি কি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেতে পারত? হ্যাঁ, সম্ভবত। কিন্তু এখন (আমাদের কথায়) তো আর সে কার্ড পাচ্ছে না। সত্যি বলতে, ১০ জনের বিপক্ষেও আজ (শনিবার) আমরা জিততে পারতাম কিনা আমি নিশ্চিত নই।'

চলতি মৌসুমে ব্যর্থতার বেড়াজালে বন্দি লিভারপুলের কোচ আরও বড় হারের শঙ্কায় ছিলেন, '৩-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর এখানে (ইতিহাদ) ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন। তারপরও আমরা সুযোগ পেয়েছিলাম ব্যবধান ৩-২ করার, রবো (অ্যান্ড্রু রবার্টসন) বাম দিক দিয়ে (আক্রমণে উঠেছিল)। তবে এটা বাদ দিলে সিটি যা ইচ্ছা তা-ই করতে পেরেছে। কারণ, আমাদের তাদেরকে প্রচুর স্পেস দিয়েছি। আমরা ভাগ্যবান যে এর পরে তারা কেবল আর একটি গোলই করেছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladeshi-Americans eager to help build new Bangladesh

July uprising and some thoughts of Bangladeshi-Americans

NRBs gathered in New Jersey showed eagerness to assist in the journey of the new Bangladesh forward.

3h ago