ফের রোনালদোর জোড়া গোল, পর্তুগালের বিশাল জয়

ছবি: এএফপি

পারফরম্যান্সের ধারা বজায় রাখলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে করলেন জোড়া গোল। তাকে দারুণ সঙ্গ দিলেন সতীর্থরা। এবার আরও বড় আকারে গোল উৎসব করল পর্তুগাল।

রোববার রাতে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে লুক্সেমবার্গকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে রবার্তো মার্তিনেজের শিষ্যরা। প্রতিপক্ষের মাঠে তারকা ফরোয়ার্ড রোনালদোর পাশাপাশি জাল খুঁজে নেন জোয়াও ফেলিক্স, বার্নার্দো সিলভা, ওতাভিও ও রাফায়েল লেয়াও।

নিজেদের মাঠে আগের ম্যাচে লিখটেনস্টাইনকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পর্তুগিজরা। দুই ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়েছে 'জে' গ্রুপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে।

ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ে দুই দলের মধ্যে পার্থক্য বিশাল। পর্তুগালের অবস্থান নয়ে, লুক্সেমবার্গ রয়েছে ৯২ নম্বরে। মাঠেও ফুটে উঠল তাদের মধ্যকার শক্তিমত্তার ব্যবধান। দেখা মিলল একপেশে লড়াইয়ের।

ম্যাচের ৩১ মিনিটের মধ্যে চারবার লক্ষ্যভেদ করে জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলে পর্তুগাল। শুরুটা হয় নবম মিনিটে। ব্রুনো ফার্নান্দেসের দূরের পোস্টে করা ক্রস হেড করে গোলমুখে ফেলেন নুনো মেন্দেস। খুব কাছ থেকে বাকিটা সারেন রোনালদো।

ছয় মিনিট পর ডানদিক থেকে বার্নার্দোর ক্রসে হেড করে ব্যবধান বাড়ান ফেলিক্স। তিন মিনিটের ব্যবধানে বার্নার্দো নিজেই গোলদাতাদের তালিকায় জায়গা করে নেন। জোয়াও পালহিনহার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে জাল কাঁপান তিনি।

৩১তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন রোনালদো। ব্রুনোর থ্রু পাসে ডি-বক্সের ভেতরে বাঁ পায়ের নিচু শটে নিশানা ভেদ করেন তিনি। জাতীয় দলের জার্সিতে ১৯৮ ম্যাচে এটি তার ১২২তম গোল। লিখটেনস্টাইনের বিপক্ষে গত ম্যাচেও জোড়া গোল করেছিলেন তিনি।

সফরকারীদের প্রথমার্ধের আক্রমণের ঝাঁজ কমে আসে দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে রোনালদো ও বার্নার্দোকে উঠিয়ে নেওয়া হলে তাদের গতি আরও কমে যায়। এরপর ৭৫তম মিনিটেও জোড়া বদল আনেন মার্তিনেজ। ব্রুনো ও ফেলিক্সের জায়গা নেন যথাক্রমে লেয়াও ও ওতাভিও।

দুই মিনিট পরই পঞ্চম গোলের দেখা পায় ২০১৬ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। লেয়াওয়ের ক্রসে সফল হেড করেন ওতাভিও। ছয় মিনিট পর রুবেন নেভেসের শট ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে।

একের পর এক গোল হজম করতে থাকা স্বাগতিক গোলরক্ষক অ্যান্থনি মরিস উল্লাসের মুহূর্ত পান ৮৫তম মিনিটে। তিনি ঠেকিয়ে দেন লেয়াওয়ের দুর্বল স্পট কিক। লেয়াও নিজেই ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হওয়ায় রেফারি বাজিয়েছিলেন পেনাল্টির বাঁশি।

অ্যান্থনির স্বস্তি অবশ্য ক্ষণস্থায়ী হয়। ৮৮তম মিনিটে নেভেসের কাছ থেকে বল পেয়ে বামদিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর শট নিখুঁতভাবে নিতে না পারলেও বল জড়ায় জালে।

Comments

The Daily Star  | English

Record toll collection on Padma and Jamuna bridges

Padma Bridge generated a record toll revenue of Tk 54.32 crore, while Jamuna Tk 41.81 crore

1h ago