ইতালির বিপক্ষে আবারও জিতে ইউরোতে ইংল্যান্ড
শুরুর দিকে নেওয়া লিড ধরে রাখত পারল না ইতালি। উজ্জীবিত পারফরম্যান্সে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল ইংল্যান্ড। দুই পরাশক্তির মধ্যকার লড়াইয়ে আবার জিতে ২০২৪ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে উঠল তারা।
মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে বাছাইয়ের 'সি' গ্রুপের ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছে গ্যারেথ সাউথগেটের দল। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ইংলিশদের হয়ে জোড়া লক্ষ্যভেদ করেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন। তাদের আরেক গোলদাতা হলেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। আজ্জুরিদের পক্ষে একমাত্র গোলটি জিয়ানলুকা স্কামাক্কার।
দুই দলের আগের দেখা হয়েছিল গত মার্চে। সেবার ইতালির মাঠে ২-১ গোলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। এতে ফিরেছে ৭৪ বছরের পুরনো স্মৃতি। মুখোমুখি লড়াইয়ে মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো টানা দুই ম্যাচে ইতালিকে হারাল ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৪৮ ও ১৯৪৯ সালে পরপর দুই ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে জিতেছিল ইংল্যান্ড।
২০০৬ সালের পর ইউরোর বাছাইয়ে প্রতিপক্ষের মাঠে ইতালির এটি প্রথম হার। মাঝে টানা ২২ ম্যাচে অপরাজিত ছিল তারা। এর মধ্যে তারা জিতেছিল ১৭ ম্যাচ। বাকি পাঁচটি করেছিল ড্র।
ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটে সফরকারীদের এগিয়ে দেন স্ট্রাইকার স্কামাক্কা। ডি-বক্সের ভেতর থেকে জাল খুঁজে জাতীয় দলের জার্সিতে প্রথম গোলের দেখা পান তিনি। লিড বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩২তম মিনিটে স্পট-কিক থেকে থ্রি লায়ন্সদের সমতায় ফেরান কেইন। জুড বেলিংহ্যামকে ডি-বক্সে জিওভানি দি লরেঞ্জো ফাউল করায় রেফারি বাজিয়েছিলেন পেনাল্টির বাঁশি।
প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ স্কোরলাইনে। দ্বিতীয়ার্ধ নিজেদের করে নেয় স্বাগতিকরা। ৫৭তম মিনিটে দ্রুতগতিতে পাল্টা আক্রমণে উঠে সফল হয় দলটি। বেলিংহ্যামের কাছ থেকে বল পেয়ে সামনে থাকা ইতালির কয়েকজন খেলোয়াড়কে এড়িয়ে লক্ষ্যভেদ করেন র্যাশফোর্ড। গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুমার তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
৭৭তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোল করে ইংল্যান্ডের জয় একরকমের নিশ্চিত করে ফেলেন কেইন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ৬১টি। ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের ইতিহাসে তিনি এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা। এই মাঠে ২৪ গোল করলেন তিনি। টপকে গেলেন ২৩ গোল করা ববি চার্লটনকে।
ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে অবস্থান ইংল্যান্ডের। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট পাওয়া ইতালি রয়েছে তিনে। গ্রুপের আরেক ম্যাচে মাল্টাকে ৩-১ গোলে হারানো ইউক্রেন আছে দুই নম্বরে। সাত ম্যাচে তাদের অর্জন ১৩ পয়েন্ট।
Comments