আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল ম্যান সিটি

২৬ ম্যাচে এটি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের ১৮তম জয়। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে।
ছবি: এএফপি

ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখল ম্যানচেস্টার সিটি। তাদের চাপের বিপরীতে সেভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারল না নিউক্যাসল ইউনাইটেড। দুই অর্ধের দুই গোলে জিতে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা আর্সেনালের সঙ্গে ব্যবধান কমাল তারা।

শনিবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ঘরের মাঠে ২-০ গোলে জিতেছে আসরের শিরোপাধারীরা। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে স্বাগতিকরা এগিয়ে যায় ফিল ফোডেনের গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে সিটিজেনদের হয়ে ব্যবধান বাড়ান বার্নার্দো সিলভা।

২৬ ম্যাচে এটি পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের ১৮তম জয়। ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার দুইয়ে। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল ৬০ পয়েন্ট নিয়ে আছে সবার উপরে। পাঁচে থাকা নিউক্যাসলের পয়েন্ট ২৪ ম্যাচে ৪১।

ম্যাচের ৫৭ শতাংশ সময়ে বল পায়ে রাখা সিটি গোলমুখে শট নেয় ১১টি। এর মধ্যে লক্ষ্যে ছিল তিনটি। অন্যদিকে, সফরকারীদের পাঁচটি শটের দুটি ছিল লক্ষ্যে।

খেলা শুরুর বাঁশি বাজার পরপরই এগিয়ে যেতে পারত স্বাগতিকরা। বামপ্রান্ত থেকে জ্যাক গ্রিলিশের ক্রসে হেড করেন ইল্কাই গুন্দোয়ান। তবে বল চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।

১৫তম মিনিটে স্টেডিয়ামে উপস্থিত নিজেদের ভক্ত-সমর্থকদের উল্লাসে মাতান ফোডেন। রদ্রির পাস থেকে অসাধারণ দক্ষতায় জাল খুঁজে নেন তিনি। ডানদিকে ডি-বক্সের বাইরে বল পাওয়ার পর দ্রুতগতিতে ভেতরে ঢুকে পড়েন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। এরপর প্রতিপক্ষের কয়েকটি চ্যালেঞ্জ এড়িয়ে নেন কোণাকুণি শট। সভেন বোটম্যানের পায়ে লেগে দিক পাল্টে বল জড়ায় জালে।

৩৪তম মিনিটে ফাঁকা জায়গা পেয়ে আক্রমণে ওঠেন কেভিন ডি ব্রুইনে। এরপর ক্রস ফেলেন ডি-বক্সে। কিন্তু ২৭ গোল নিয়ে আসরের গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে থাকা আর্লিং হালান্ডের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

বিরতির পর ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হাতছাড়া করে নিউক্যাসল। বদলি নামা জোসেফ উইলক ক্রস করেন গোলমুখে। কিন্তু জোয়েলিনতন বল মিস করে হতাশায় পোড়ান দলকে।

তিন মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ম্যান সিটি। মাত্র দুই মিনিট আগে বদলি নামা সিলভা বাঁ পায়ের শট পরাস্ত করেন প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক নিক পোপকে। বুদ্ধিদীপ্ত ফ্লিকে পর্তুগিজ এই মিডফিল্ডারকে বলের যোগান দিয়েছিলেন হালান্ড।

৮৬তম মিনিটে বড় জয় নিশ্চিত করার সুযোগ এসেছিল গার্দিওলার দলের সামনে। গ্রিলিশ দারুণ দক্ষতায় ডি-বক্সে খুঁজে নেন ফোডেনকে। দুরূহ কোণ থেকে তার নেওয়া শট আটকে ব্যবধান বাড়তে দেননি পোপ।

Comments