ভারতের প্রাক্তন স্পিনার দিলীপ দোশী আর নেই

Dilip Doshi
দিলীপ দোশী

আশির দশকে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাতানো বাঁহাতি স্পিনার দিলীপ দোশী আর নেই। লন্ডনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৭৭ বছর বয়সে মারা গেছেন তিনি। বর্ষীয়ান এই স্পিনারের প্রয়াণে শোকাহত ভারতের ক্রিকেটাঙ্গন।

মৃত্যুকালে স্ত্রী কালিন্দী দোশী, ছেলে নয়ন দোশী (যিনিও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন) এবং মেয়ে বিশাখাকে রেখে গেছেন দিলীপ।

দিলীপ দোশীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজকোটে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার অভিষেক হয় একটু বেশি বয়সে। ১৯৭৯ সালে ৩২ বছর বয়েসে চেন্নাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে তিনি প্রথম মাঠে নামেন এবং সেই ম্যাচেই নিজের জাত চেনান। বাঁহাতি স্পিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তুলে প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন দিলীপ। এরপর ১৯৮১ সালে মেলবোর্নে ভারতের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। সেই ম্যাচে তার স্পিন ভারতকে এনে দিয়েছিল বহু কাঙ্ক্ষিত জয়।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন দিলীপ দোশী। এই সময়ে তিনি ৩৩টি টেস্ট এবং ১৫টি ওয়ানডে ম্যাচে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ৩৩ টেস্টে তিনি নিয়েছেন ১১৪ উইকেট। ঘরোয়া ক্রিকেটেও তিনি ছিলেন বেশ সফল। সৌরাষ্ট্র এবং বাংলার হয়ে তিনি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন।

দিলীপ দোশীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, অনিল কুম্বলে, রবি শাস্ত্রীসহ বহু ক্রিকেটার। শোক বার্তায় টেন্ডুলকার লিখেছেন,  '১৯৯০ সালে যুক্তরাজ্যে প্রথম দিলীপ ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয় এবং সেই সফরে তিনি নেটে আমাকে বল করেছিলেন। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন এবং আমিও তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম। দিলীপ ভাইয়ের মতো একজন উষ্ণ হৃদয়ের মানুষকে আমরা গভীরভাবে মিস করব। আমাদের সেই ক্রিকেট নিয়ে আলোচনাগুলো আমি খুব মিস করব। ওনার আত্মা শান্তিতে থাকুক। ওম শান্তি।'

কুম্বলে লিখেছেন, 'দিলীপ ভাইয়ের প্রয়াণের খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। ঈশ্বর তার পরিবার ও বন্ধুদের এই ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দিন। নয়ন, তোমার জন্য সমবেদনা রইল বন্ধু।'   রবি শাস্ত্রীও তার মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

হেডিংলিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট খেলা ভারতীয় দল দিলীপের মৃত্যুতে শেষ দিনেও কালো আর্মব্যান্ড পরে নামবে।

Comments

The Daily Star  | English

Panic grips NBR officials

The relief that followed the end of a disruptive strike by tax officials at the National Board of Revenue has quickly given way to anxiety and regret, as the government started a clampdown on those involved.

12h ago