বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ

হাসান আলির পাঁচ উইকেট, বাংলাদেশের বড় হার

Hasan Ali

পাকিস্তানের দেওয়া দুইশো ছাড়ানো পুঁজি টপকাতে তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসের ব্যাটে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলো বাংলাদেশ। তবে এই দুজন অসময়ে থামার পর জাকের আলি অনিক ছাড়া দলের চাহিদা মেটাতে পারলেন না আর কেউ। দলের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার তাওহিদ হৃদয় খেললেন দৃষ্টিকটু মন্থর ইনিংস। অন্যদিকে কার্যকর  বোলিংয়ে পাঁচ শিকার ধরে সফরকারীদের মুড়ে দিলেন হাসান আলি।

বুধবার লাহোরের গাদ্দাফী স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৩৭ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগে ব্যাটিং পেছে ২০১ রানের পুঁজি গড়ে তারা। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ থেমে যায় ১৬৪ রানে। ডানহাতি পেসার হাসান আলি ৩০ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা পারফর্মার। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম পাঁচ উইকেট।

ব্যাট হাতে সালমানের ৩৪ বলে ৫৬, হাসান নাওয়াজের ২২ বলে ৪৪ ও শাদাব খানের ২৫ বলে ৪৮ রানে বড় সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দল। বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্যে তানজিদ ১৭ বলে ৩১, লিটন ৩০ বলে ৪৮ আর জাকের ২১ বলে করেন ৩৬ রান। তবে হৃদয় ২২ বলে ১৭ রানের অদ্ভুত ইনিংস খেলে হাঁটেন উল্টোরথে।

বড় রান তাড়ায় দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান পারভেজ হোসেন ইমন। হাসান আলির বলে সহজ ক্যাচে ৪ রান করে আউট হন তিনি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পর দুই ম্যাচে ফিরলেন ০ ও ৪ রান করে। আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম জারি রাখেন তার ছক্কা হিটিং। আগ্রাসী ব্যাট চালিয়ে ১৭ বলে ২ চার, ৩ ছক্কায় ৩১ করার পর হাসানের ভেতরে ঢোকা বলে স্টাম্প খোয়ান তিনি।

প্রবল চাপে পড়া দলের হাল ধরে এরপর প্রতিরোধ গড়েন লিটন-হৃদয়। থিতু হতে কয়েক বল নেন দুজনেই। বল পুরনো হয়ে আসতেই লিটন মেলে ধরেন ডানা। হৃদয় ধুঁকতে থাকলেও অধিনায়কে মনে হচ্ছিলো ফুরফুরে। তবে ইনিংস টেনে নেওয়া হয়নি তার। শাদাব খানকে ছক্কায় উড়িয়ে ৪৮ রানে গিয়েই পথ হারান তিনি। তার বিদায়ের পর পর খুশদিল শাহ তুলে নেন হৃদয়কে। ডানহাতি ব্যাটার ২২ বল খুইয়ে করেন ১৭। তার এই মন্থর ইনিংস রান তাড়ার হিসেব করে দেয় জটিল।

জাকের আলি একবার জীবন পেয়ে ঝড় তুললেও সম্ভাবনা সেভাবে জাগাতে পারেননি। ২০ বলে ৩৬ করে তার বিদায় হাসানের বাউন্সারে, পুল করতে গিয়ে সামাল দিতে না পেরে সহজ ক্যাচ দেন তিনি। তার আগেই ফিরে যান রিশাদ হোসেন। শেখ মেহেদী হাসানের আগে নামা তানজিম হাসান সাকিব ব্যাট হাতেও করেন হতাশ।  বাংলাদেশ ম্যাচ খুইয়ে বসে বেশ আগেভাগে। ৪ বল আগে ইনিংস মুড়ে পাঁচ উইকেট তুলেন হাসান।  

এর আগে টস হেরে বোলিং পেয়ে ভালো শুরু পেয়েছিলো সফরকারী দল। আমিরাত সিরিজে হতাশ করা শেখ মেহেদী তৃতীয় বলেই ফেরান সাইম আইয়ুবকে। পাকিস্তানি ওপেনার থেমে আসা বলে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে বোলারের হাতেই দেন সহজ ক্যাচ।

দ্বিতীয় ওভারে আরেক বিপদজনক ওপেনার ফখর জামানকে ফিরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। শরিফুলের লেগ-মিডলের বল খেলতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে এলবিডব্লিউ হওয়া ফখর করেন ১ রান। ৫ রানেই ২ উইকেট হারায় পাকিস্তান। চাপে পড়া দলকে এরপর গা ঝাড়া দিয়ে টেনে তুলতে থাকেন মোহাম্মদ হারিস। সালমানও থিতু হয়ে সচল হন। শুরুতে স্থবির পাকিস্তান পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তুলে নেয় ৫২ রান।

পাওয়ার প্লের ঠিক পরেই হারিসকে থামানো গেলেও সালমান আলি আঘার ফিফটি আর শাদাব খান ও হাসান নাওয়াজের কার্যকর দুই ঝড়ে দুইশো ছাড়িয়ে যায় তারা। যে পুঁজি ডিঙানো বাংলাদেশের জন্য হয়েছে অসম্ভব।

Comments

The Daily Star  | English

Trump says Iran has 'maximum' two weeks, dismisses Europe peace efforts

Israel's war with Iran entered its second week on Friday with the Israeli military chief warning of a "prolonged campaign"

2h ago