উইকেট পরিবর্তন না হলে মানও বাড়বে না: মুমিনুল

প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল জিম্বাবুয়ে। যারা সবশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল ছয় বছর আগে, সেটাও এই বাংলাদেশের বিপক্ষে। এর আগেরটি তো ছিল আরও পাঁচ বছর আগে। অথচ সেই দলের বিপক্ষে রীতিমতো সংগ্রাম করছে বাংলাদেশ দল। দেশের ক্রিকেটের এমন বেহাল অবস্থার জন্য উইকেটকে দায় দিলেন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হক।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে এসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম দিনে একক দাপট দেখানো জিম্বাবুয়ে এগিয়ে ছিল দ্বিতীয় দিনেও। এদিন ৪ উইকেট হারিয়ে ১১২ রানের লিড নিতে সমর্থ হয় টাইগাররা। তবে এখনও জয় পাওয়ার মতো নিশ্চিত স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। এমন অবস্থা থেকে ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়া নতুন কিছু নয় টাইগারদের জন্য।

তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের সংগ্রাম নিয়ে। বেশির ভাগ ব্যাটারই নিজের উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসছেন। যা টেস্ট ক্রিকেটে টাইগারদের নিয়মিত ঘটনা। ঘরোয়া লিগে উন্নতি ও বিদেশি খেলার আনলে মান বাড়ত কি-না জানতে চাওয়া হয় মুমিনুলের কাছে। এই ক্রিকেটারের উত্তর, 'আমার কাছে মনে হয় তো যতদিন উইকেট পরিবর্তন না হবে ততদিন মান বাড়বে না।'

উইকেট পরিবর্তনের গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেন, 'এখানে যে উইকেটে খেলা হয়েছে এরকম উইকেট থাকলে পেসাররা উৎসাহী হবে, উইকেটটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। প্রত্যেকটা বিভাগে সেরকম সুযোগ-সুবিধা তৈরি করে দেওয়া উচিত।'

অন্যদিকে বিদেশি খেলোয়াড় আনায় লাভের সঙ্গে ক্ষতিও দেখছেন মুমিনুল, 'আর বিদেশী খেলোয়াড়দের সুযোগ দিলে ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। কিন্তু সেখানে আরেকজন বোলার সুযোগ পাবেন না, ওই জায়গাটা সংক্ষিপ্ত হয়ে আসবে। এখানে তো একটা ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তখন এক জায়গায় লাভ হচ্ছে আরেক জায়গায় লস হচ্ছে।'

তবে নিজের অধিনায়কত্বের সময়ের দলে চেয়ে বর্তমান দল ভালো বলে জানালেন মুমিনুল, 'আমি যখন অধিনায়ক ছিলাম তখন থেকে এখনকার টেস্ট দল অনেক ভালো। তখন বোলার ছিল না খুব ভালো, আমার তখন কষ্ট হয়েছিল অনেক ভালো একটা জায়গায় নিয়ে আসতে। এখনকার টেস্ট দল অনেক সাজানো গোছানো। হয়তো ব্যাটিংটা আমরা ধারাবাহিকভাবে করতে পারছি না, কিন্তু ফিল্ডিং আর বোলিং এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে গেছি আমরা।'

Comments

The Daily Star  | English

No sharp rise in crime, data shows stability: govt

The interim government today said that available data does not fully support claims of a sharp rise in crimes across Bangladesh this year

15m ago