সাক্ষাৎকার

ওয়ানডে-টি-টোয়েন্টির চেয়ে বেশি টেস্ট খেলতে চান নাহিদ

Nahid Rana
। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের তরুণ পেস সেনশেশন নাহিদ রানা গতি দিয়ে এরমধ্যেই নজর কেড়েছেন ক্রিকেট দুনিয়ার। টেস্ট দিয়ে শুরুর পর বাকি দুই সংস্করণেও অভিষেক হয়ে গেছে তার। ২২ পেরুনো তরুণের মাঝে দেখা যাচ্ছে আগামীর বিপুল সম্ভাবনা। নাহিদ সব সংস্করণ খেললেও টেস্টটাকে দেখছেন আলাদা চোখে। একান্ত সাক্ষাতকারে দ্য ডেইলি স্টারকে জানালেন, সবচেয়ে বেশি মর্যাদাপূর্ণ এই সংস্করণই খেলতে চান তিনি।

মাত্রই ঈদ উদযাপন শেষে ফিরলেন। সামাজিক মাধ্যমে ঈদের বিরতিতে শরিফুল ইসলামের মাছ ধরার কৌশল নিয়ে মজা করেছিলেন, ছুটিতে কি আপনার পছন্দের কাজগুলোও করতে পেরেছেন?

নাহিদ রানা: ঈদে সবার সঙ্গে দেখা হওয়াটা ভালো ছিল। যেহেতু আমি গ্রামে বড় হয়েছি, তাই ছোটবেলা থেকেই এসব জিনিস [মাছ ধরা এবং গাছে চড়া] দেখেছি। আমি তার (শরিফুল) সঙ্গে স্রেফ মজা করছিলাম।  তিনি আমার বড় এবং আমরা একই কোচের ছাত্র, আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। তবে আমি পাঁচ-ছয় বছর আগে যা করতাম, এখন তা করতে পারিনি। এখন, কিছু করার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হয় এবং নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।

আপনার প্রথম পিএসএল সুযোগটি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

নাহিদ রানা: আমার জন্য প্রতিটি খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। আমি যা চেষ্টা করতে চাই তা হলো আগে [গত বছর পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজে] যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, তা ব্যবহার করা। সেখানে আমি যে ভুলগুলো করব, সেগুলো থেকে শিখতে চাই এবং বাংলাদেশে ফিরে এসে সেগুলো নিয়ে আরও কাজ করতে চাই।

টেস্ট ক্রিকেটে আপনার পরিকল্পনা কী, যেহেতু এই ফরম্যাট দিয়েই আপনার শুরু

নাহিদ রানা: আমার পরিকল্পনা হলো টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ার আগে আমি অন্য সব ফরম্যাট থেকে অবসর নেব। একদম সবার শেষে আমি টেস্ট ছাড়তে চাই। যদি আমি তা করতে পারি তবে আমার ফিটনেস এবং বোলিংয়ের অন্যান্য দিকগুলো ভালো থাকবে। যদি আমি দীর্ঘ সময় ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলতে পারি তবে তা আমার এবং দেশের জন্য ভালো হবে। তিনটি ফরম্যাটের মধ্যে এটি সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ। তাই যতদিন আমি ফিট এবং খেলতে সক্ষম থাকব, ততদিন আমি টেস্ট খেলা চালিয়ে যাব।

জেমস অ্যান্ডারসন বা অন্য কেউ কি আপনাকে এভাবে ভাবতে অনুপ্রাণিত করেছে?

নাহিদ রানা: আসলে, আমার পরিস্থিতি অ্যান্ডারসনের মতো পুরোপুরি নয় কারণ সেখানকার আবহাওয়া আমাদের থেকে অনেক আলাদা। ভবিষ্যতে অনেক পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং আমি খুব বেশি দূরে ভাবতে চাই না। তার বদলে আমি বর্তমানেই থাকতে চাই। এই মুহূর্তে আমি ভাবছি যদি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পাই তবে আমি কী করব এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি।

রাওয়ালপিন্ডিতে যখন আপনি ১৫২ কিমি/ঘণ্টা গতিতে বল করেছিলেন, তখন কি তা আপনার জন্য প্রত্যাশার বেশি ছিল? গতি নিয়ে এমন কোন লক্ষ্য আছে যা আপনি ছুঁতে চান?

নাহিদ রানা: গতি আমার জন্য কখনই প্রত্যাশার বাইরে নয় কারণ আমি কঠোর পরিশ্রম করছি, নিজেকে ধরে রাখছি এবং  ঠাকঠাক খাচ্ছি। আমি মনে করি [গতির ক্ষেত্রে] যেকোনো সময় যেকোনো কিছু ঘটতে পারে। আমি অন্য কারও মতো হতে বা কারও রেকর্ড ভাঙতে চাই না। আমি যা চাই তা হলো নিজের রেকর্ড তৈরি করা। কোনো ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার কথা যদি বলেন, দলের জন্য একটি বড় ট্রফি জেতার চেয়ে বড় আর কিছুই নেই।

আপনার রান-আপ কি আপনার গতির মূল চাবিকাঠি?

নাহিদ রানা: ছোটবেলা থেকেই আমি মনে করতাম আমি গতিময়। তবে আমি বেশিরভাগ সময় টেপ টেনিস বল দিয়ে খেলতাম। ২০১৯ সালের শেষের দিকে যখন আমি ক্রিকেট বল দিয়ে খেলা শুরু করি, তখন ধীরে ধীরে উন্নতি হতে শুরু করে। প্রথমবার হাতে ক্রিকেট বল পেয়ে আমি খুব রোমাঞ্চিত ছিলাম কারণ এর আগে আমি কেবল টিভিতেই এটি দেখেছি। আমার কাছে এটা বেশ ভারী লাগছিলো। আমি মনে করি মসৃণ রান-আপ এবং লাফ আমার জন্য গতি তৈরি করে। যখন সেই জিনিসগুলো ক্লিক করে, তখন আমার কব্জির অবস্থান আপনা-আপনিই ঠিক হয়ে যায়।

Comments

The Daily Star  | English

Israeli strike hits military base south of Tehran

An Israeli attack on Saturday in Iran's west killed at least five army personnel and wounded nine others, Iranian media reported

55m ago