উইকেটের মতো চেক বাউন্স হবে না, প্রত্যাশা তাসকিনের

'এই উইকেটের বাউন্স করলে তো সমস্যা আছে...,' রসিকতা করে হাসতে হাসতেই বললেন তাসকিন আহমেদ। তবে নিছক মজা করে বললেও কিছুক্ষণের মধ্যেই সিরিয়াস হয়ে বলেছেন আশা করছেন, চেক বাউন্স হবে না। এমনিতেই নাটকীয় একটি দিন কাটিয়ে তখন ক্লান্ত দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়রা।

বিপিএলে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়, তবে গতকালের নানা কাণ্ড ছাড়িয়ে গিয়েছে সব কিছুকে। বিশেষ করে দুর্বার রাজশাহীর কর্মকর্তা সময়মত পারিশ্রমিক দিতে ব্যর্থ হওয়ায় নিয়মিত নাটক হয়েছে আসরে। তার উপর আগের দিন ম্যাচডের সকালে হুট করে বদল করতে হয়েছে টিম হোটেলও।

তারপর খেলোয়াড়দের ম্যাচ বয়কটের ডাকে তৈরি হয় বড় শঙ্কা। শেষ পর্যন্ত চেক দিয়ে স্থানীয় খেলোয়াড়দের আশ্বস্ত করা গেলেও বিদেশিদের করা যায়নি। কারণ এর আগেও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি চেক দিয়েছিল। সেই চেক হয় বাউন্স। যে কারণে চট্টগ্রামে একবার অনুশীলনও বয়কট করেছিল খেলোয়াড়রা।

সেই স্মৃতি মনে করেই ম্যাচ শেষে মজা করে তাসকিন বললেন, 'ওটা (চেক বাউন্স) হলে তো কিছু করার নেই। আশা করি হবে না, উইকেটের মতো বাউন্স করবে না।' এরপর বললেন, 'সবাই যখন চিন্তা করছিল, তখন ফারুক সাহেব ফোন করে বলেছেন- টাকা পেতে দেরি হলেও সমস্যা নাই, বিসিবি দেবে, তোমরা খেলো মন দিয়ে।'

পরের ম্যাচে রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়রা খেলবেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, 'আসলে এখনও হোটেলে যাইনি। তারা আসলে তো দলের জন্য ভালো হবে। আশা করব তারা যেন আসে। তবে এখন বলতেও পারছি না। ম্যানেজমেন্ট যদি ওদের পে করে, তাহলে ওরা অবশ্যই আসবে।'

তবে বিদেশিদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল জানিয়ে বলেন, 'এটা আমি শুনেছি, ম্যানেজারকে নাকি বলা হয়েছিল টাকা নিয়ে দরজায় নক করতে। কিন্তু ওরা দরজাই খোলেনি। ওরা ভেবেছে, এমনিতেই নক করছে। আমি গিয়েছিলাম, কিন্তু ওরা (বিদেশিরা) বললো— টাকা না দিলে আমরা খেলবো না। আমি আর কী বলবো, আমিও তো প্লেয়ার। (হাসি)।'

তবে ক্যারিয়ারে এমন কিছু এর আগে কখনোই দেখেননি এই পেসার, 'আজকে দিনের শুরু থেকেই অনেক ড্রামা দেখেছি আমরা সব প্লেয়াররাই। আমি যতটুকু শুনেছি, টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে নাকি টাকা নিয়েও রুমে নক করেছে বিদেশিদের কেউ দরজা খোলেনি। সবাই মিলে শুরুতে একটু আপসেট ছিল। ১২০ রান হলো, এত সোজা না আজকের উইকেট। ১৫-২০ রান শর্ট ছিল, শেষ দিকে পুরস্কার পাওয়া গেছে।'

'আমার জীবনেও নতুন অভিজ্ঞতা হলো। বুকিং দেওয়া ছিল শেরাটনে, পরে ওয়েস্টিনে। হোটেল ওয়েস্টিনের নাকি সব রুম বুক হয়ে গেছে। চেঞ্জ করলাম হোটেল। আমাদের বোর্ড থেকে ফোন দিয়ে বললো— আসো। খেলো অন্তত। বিদেশিদেরও বলেছে— পেমেন্ট ইস্যু না তোমরা আসো,' যোগ করেন তাসকিন।

Comments

The Daily Star  | English

Growth of economic units slows amid capital shortages

The growth in the number of economic units in Bangladesh has slowed over the past decade, primarily due to capital shortages among rural entrepreneurs, according to the latest Economic Census of the Bangladesh Bureau of Statistics.

2h ago