নায়ক হতে গিয়ে খলনায়ক হলেন সাইফউদ্দিন
শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৫ রানের। প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কায় আশা জাগিয়েছিলেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পরের দুই বলে কোনো রানই 'নিলেন না' তিনি। অথচ চাইলেই দুটি বলেই দুটি করে রান নিতেই পারতেন তিনি। পরের দুই বলে একটি চার ও একটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ২ রানের আক্ষেপ। দারুণ ব্যাটিং করেও তাই খলনায়ক সাইফউদ্দিন।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সকে ২ রানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১৯ রান করে তারা। জবাবে ২০ ওভারে ১১৭ রানের বেশি করতে পারেনি রংপুর। দুই দলের প্রথম মোকাবেলায় ২৪ রানে জিতেছিল রাজশাহী।
অথচ এদিন পারিশ্রমিক না পেয়ে ম্যাচ বয়কট করেন রাজশাহীর বিদেশি খেলোয়াড়রা। নানা আশ্বাসেও তাদের বোঝাতে ব্যর্থ হলে বিসিবির দ্বারস্থ হয় দলটি। বিশেষ ব্যবস্থায় অনুমতি নিয়ে দেশি খেলোয়াড় নিয়ে একাদশ সাজায় তারা। তাই নিয়ে বাজিমাত করে তারা। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সকে ফের হারিয়েছে তাসকিন আহমেদের দল।
তবে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে ম্যাচ কঠিন করে ফেলে রংপুর। মৃত্যুঞ্জয়ের তোপে দলীয় ৪৭ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। এরপর রাকিবুল হাসানের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়ে আশা বাড়ান সাইফউদ্দিন। এরপর তো একাই লড়লেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বোঝা ভুলে হলেন 'খলনায়ক'।
তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। শেষ বলে ছক্কা মেরে পেয়ে যান চলতি আসরের প্রথম ফিফটি। ৩১ বলের ইনিংসটি সাজান ন৬টি চার ও ৩টি ছক্কায়। ২২ বলে ২০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন রাকিবুল। ১৮ রানের খরচায় ৪টি উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয়। ২টি করে উইকেট পান তাসকিন ও মোহর শেখ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। তেমন কোনো জুটিই গড়তে পারেনি দলটি। এনামুল হক বিজয়ের সঙ্গে প্রমোশন পেয়ে তিনে নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ১৫ বলে করা ২৩ রানের জুটি ইনিংসে সর্বোচ্চ।
রাজশাহী একশর কোটা পার করতে পাড়ে মূলত সানজামুল ইসলামের ব্যাটে। নয় নম্বরে নামা এই ব্যাটার করেন ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৮ রান। ২৯ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ৪টি চার দিয়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আকবর আলীর। তিনি করেছেন ২১ বলে ১৯ রান। শেষ দিকে অধিনায়ক তাসকিনের ৮ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করা ১৩ রানও ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
রংপুরের পক্ষে ১৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার খুশদিল শাহ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সাইফউদ্দিন ও রাকিবুল হাসান।
Comments