ফাহিম আশরাফের তোপে নকআউট পর্ব নিশ্চিত বরিশালের

বল হাতে রীতিমতো আগুন ঝরালেন ফাহিম আশরাফ। তাতে লণ্ডভণ্ড সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটিং লাইনআপ। কোনো মতে লড়াইয়ের পুঁজি মিলে দলটির। এরপর বাকি কাজ শেষ করেন ব্যাটাররা। তাতে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএলের নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয় ফরচুন বরিশালের।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। জবাবে ২৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল। এই হারে কাগজে কলমে টিকে থাকলেও বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেল সিলেটের।

এদিন বরিশালের জয়ের মূলনায়ক ছিলেন পাকিস্তান অলরাউন্ডার ফাহিম আশরাফ। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নেন তিনি। তাও মাত্র ৭ রানের বিনিময়ে। তার বোলিং তোপে প্রতিরোধই গড়তে পারেনি সিলেটের ব্যাটাররা। রনি তালুকদারকে দিয়ে উইকেটের শুরু। এরপর একে একে তুলে নেন কাদিম আলাইনে, নাহিদুল ইসলাম, আরিফুল হক ও সুমন খানকে তুলে নেন এই পাকিস্তানি।

তবে এদিন টস জিতেছিল সিলেটই। আগে ব্যাটিং বেছে নিয়ে শুরু থেকেই বিপদে পড়ে তারা। দলীয় ১৪ রানে হারায় দুই উইকেট। এরপর শুরু হয় ফাহিম আশরাফের আগুন ঝরানো বোলিং। তাতে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে দলটি। গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে আহসান ভাট্টি ও জাকের আলীর গড়া ৩২ রানের জুটি ইনিংসে সর্বোচ্চ।

এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও দায়িত্ব নিতে পারেন সিলেটের কোনো ব্যাটার। সর্বোচ্চ ২৮ রান আসে আহসানের ব্যাট থেকে। সেটাও করেছেন ২৯ বল খেলে। ১৯ বলে ২৪ রান করেন জাকের আলী। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন অধিনায়ক আরিফুল হক (১২) ও তানজিম হাসান সাকিব (১৩)। বরিশালের পক্ষে ফাহিমের ফাইফার ছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ নবি ও জেমস ফুলার।

সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ২২ রানে মেকশিফট ওপেনার তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বরিশাল। এরপর দ্রুত ফিরে যান ডেভিড মালানও। তবে অপর প্রান্তে কিছুটা দেখেশুনে ব্যাটিং করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তামিম ইকবাল। সঙ্গী হিসেবে পান আরেক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমকে। ৬০ বলে এ দুই তারকার অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে জয় নিশ্চিত হয় তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তামিম। ৫১ বলের ইনিংসটি সাজান ৬টি চারের সাহায্যে। মুশফিকুর রহিম খেলেন ৪২ রানের হার না মানা ইনিংস। ৩০ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Growth of economic units slows amid capital shortages

The growth in the number of economic units in Bangladesh has slowed over the past decade, primarily due to capital shortages among rural entrepreneurs, according to the latest Economic Census of the Bangladesh Bureau of Statistics.

2h ago