এবার বড় মাইলফলকের দিকে তাকিয়ে জ্যোতি

Nigar Sultana Joty

ওয়েস্ট ইন্ডিজে গিয়ে প্রথম ওয়ানডেতে যেভাবে উড়ে গিয়েছিলো বাংলাদেশ তাতে প্রত্যাশা কমে গিয়েছিলো। দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং হয়নি জুতসই, তবু দুইশোর নিচে পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক জয়। এতে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার আশাও টিকে রয়েছে। সেই বড় অর্জনের দিকে তাকিয়ে আছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

সেন্ট কিটসে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬০ রানে হারায় সফররত বাংলাদেশ। আগে ব্যাট করে জ্যোতির ৬৮ রানে ভর করে বাংলাদেশ তুলে ১৮৪, পরে ক্যারিবিয়ানদের ১২৪ রানে আটকে সিরিজে আনে সমতা।

এই ম্যাচ জেতায় সরাসরি আগামী বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলার আশা বেঁচে গেছে বাংলাদেশের। সিরিজের শেষ ম্যাচ জিততে পারলে ধরা দেবে সেই অর্জন।

আগের ম্যাচেও দুইশোর নিচে পুঁজি গড়ে কোন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ, এবার অল্প পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জেতায় বড় ভূমিকা বোলারদের। নাহিদা আক্তার, মারুফা আক্তারদের কৃতিত্ব দেন জ্যোতি,  'প্রথমত, আমি মনে করি যে, দলের বিশ্বাস ছিল। যদিও রানটা অনেক কম ছিল। এসব উইকেটে দুইশর বেশি রান না করলে বোলারদের জন্য কাজটা অনেক কঠিন। তবে আমরা যখন মাঠে নামি, এর আগেই বলছিলাম যে, সবাই যেন জয়ের বিশ্বাস রাখি। কারণ, আমরা যদি জায়গায় বল রাখতে পারি, পরিকল্পনা অনুযায়ী সময়মতো উইকেট নিতে পারি, তাহলে (জেতা) সম্ভব।'

'প্রতিটি বোলার, প্রতিটি ফিল্ডার যেভাবে ১১০ ভাগ দিয়েছে এবং চেষ্টা করেছে, সেটা অসাধারণ ছিল। সবার চেষ্টায় এরকম একটা জয় সম্ভব হয়েছে।'

এদিন টস জিতে আগে বল করতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে দল। পরে দলকে একাই টানেন জ্যোতি। জানালেন নিজে তৃপ্তির কথা,  'আমাদের পরিকল্পনা ছিল আগে বল করার। টসে হেরে যখন ব্যাটিংয়ে গেছি, যেহেতু ভালো ট্র্যাক, আমাদের লক্ষ্য ছিল দুইশর বেশি রান। সেটা আমরা পারিনি। আমি চেষ্টা করেছি, নিজের ধরনের বাইরে গিয়ে অনেক বেশি বল খেলতে এবং থিতু হতে। এখন দিনশেষে মনে হচ্ছে, রানগুলি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল দলের জন্য এবং দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে আমি অনেক বেশি খুশি।'

আগামী শনিবার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে অর্জন দুটি। ম্যাচ জিততে পারলে দেশের বাইরে প্রথমবার সিরিজ জেতার পাশাপাশি সরাসরি বিশ্বকাপ খেলাও নিশ্চিত হয়ে যাবে। তবে বিশ্বকাপ খেলার সমীকরণ সরিয়ে সিরিজ জেতার মাইলফলকে মন দিয়ে চাপমুক্ত থাকার মন্ত্র জ্যোতির, 'সমীকরণের চিন্তা এখনও করছি না। প্রথম ম্যাচ হারার এক দিন পরই দল এভাবে ঘুরে দাঁড়াল, এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা আমাদের অনেক বেশি কাজে লাগবে। দুটি পয়েন্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মোমেন্টাম সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দল সেটা পেয়েছে। শেষ ম্যাচে আমাদের চেষ্টা এটাই থাকবে। সিরিজ জয়ের একটা চেষ্টা থাকবে।'

'দেশের বাইরে আমরা কখনও সিরিজ জিততে পারিনি। অর্জন করতে পারলে আমাদের দলের জন্য অনেক বড় একটা মাইলফলক হয়ে থাকবে।'

Comments

The Daily Star  | English

CEC Nasir Uddin calls on chief adviser

The meeting was held at the state guest house Jamuna

43m ago