চোটে বল করতে পারলেন না বুমরাহ, বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পুনরুদ্ধার করে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
পুরো সিরিজে প্রায় একক নৈপুণ্যে ভারতকে সিরিজে রেখেছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ। তবে শেষ লড়াইয়ে এসে শরীর বিগড়ে গেল তার। পিঠের চোটে আগেরও দিনও বেশিরভাগ সময় বল করতে পারেননি, এই পেসার দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভারও পারলেন না বল করতে। অস্ট্রেলিয়াকে দেড়শো ছাড়ানো লক্ষ্য দিয়ে প্রসিদ কৃষ্ণ, মোহাম্মদ সিরাজরা তাই তৈরি করতে পারলেন না কোন চ্যালেঞ্জ। শেষটায় আর জমল না লড়াই।
রোববার সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ। ভারতকে ৬ উইকেটে অনায়াসে হারিয়ে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে প্যাট কামিন্সের দল। এতে প্রায় এক দশক পর বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি পুনরুদ্ধার করল অস্ট্রেলিয়া। এতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করেছে অজিরা। আগামী জুনে লর্ডসে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।
আগের দিনের ৬ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে নেমে ১৫৭ রানে থেমে যায় ভারত। তাতের অল্পতে আটকে দিতে ৪৫ রানে ৬ উইকেট নেন স্কট বোলান্ড।
১৬২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫৮ রানে ৩ উইকেট পড়লেও ট্রেভিস হেড, বাউ ওয়েবস্টারের ব্যাটে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিক দল। চার মেরে ম্যাচ শেষ করা ওয়েবস্টার ৩৪ বলে করেন ৩৯ রান, ৩৮ বলে ৩৪ করে অপরাজিত থাকেন সিরিজজুড়ে ভালো খেলা হেড।
সকালে নেমে আর ১৬ রান যোগ করেই বাকি ৪ উইকেট হারায় ভারত। দলের ভীষণ প্রয়োজনে ত্রাতা হতে পারেননি অভিজ্ঞ রবীন্দ্র জাদেজা। দিনের শুরু তার আউট দিয়েই। কামিন্সের বলে ১৩ রান করে কট বিহাইন্ড হন তিনি। এরপর একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটার হিসেবে ছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। তিনি বোল্ড হয়ে যান খানিক পর, সুন্দর ফেরেন ১২ রান করে।
সিরাজ আর বুমরাহকে পর পর তুলে নিয়ে ইনিংস মুড়ে দেন বোলান্ড, যিনি আগের দিনই ভারতকে কোণঠাসা করে ফেলেছিলেন।
১৬২ রানের লক্ষ্য একদম সহজ না হলেও নাগালের মধ্যেই। এই পুঁজিতে একমাত্র বুমরাহ হতে পারতেন বিপদ। এক ইনিংস কম বল করেও সিরিজে সর্বোচ্চ ৩২ উইকেট নেওয়া ভারত অধিনায়ক পিঠের চোটে কাবু হয়ে আর নামতে পারেননি। ফলের শুরুর ঝাঁজ দেওয়ার তেমন কেউ ছিলো না।
অস্ট্রেলিয়া রান তাড়া শুরু করে আগ্রাসী মেজাজে। স্যাম কনস্টাস টি-টোয়েন্টি মেজাজে খেলছিলেন। চতুর্থ ওভারে দলের ৩৯ রানে কাটা পড়েন তিনি। ১৭ বলে ২২ করা কনস্টাসকে আউট করেন কৃষ্ণ। ৪৫ বলে ৪১ করা উসমান খাওয়াজাকে তুলে নেন সিরাজ। এরপর মারনাশ লাবুশানে আর স্টিভেন স্মিথকে পর পর তুলে নেন কৃষ্ণ। আশা জাগিয়ে তুলেন কিছুটা।
তবে সেই আশা মিইয়ে দিতে কোন ভুল করেননি হেড-ওয়েবস্টার। ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ শেষ করে দেন তারা।
Comments