ট্রেভিস ‘হেডেকের’ মলম খুঁজছেন শাস্ত্রী

ravi shastri and travis head

২০২৩ সালের আইসিসি ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল এবং এর পরে অনুষ্ঠিত আইসিসি পুরুষ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতের হারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা ট্রেভিস হেড বর্তমান টেস্ট সিরিজেও তুলছেন রানের ঝড়। সিরিজের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১ রানে আউট হওয়ার পর, হেড পরবর্তী তিনটি ইনিংসে করেন ৮৯, ১৪০ এবং ১৫২ রান। এই দুর্বার ছন্দের কারণে তাকে নতুন একটি ডাকনামে অভিহিত করেচেন সাবেক ভারতীয় খেলোয়াড় ও কোচ রবি শাস্ত্রী।

সর্বশেষ "দ্য আইসিসি রিভিউ" এর পর্বে হোস্ট সঞ্জনা গণেশানের সঙ্গে আলাপে শাস্ত্রী বলেছিলেন, 'তার নতুন উপাধি হল ট্র্যাভিস হেডেক (মাথা ব্যথা)'

'ব্যথার জন্য ভারতে সবাই বাম খুঁজে। পায়ের সমস্যা, গোড়ালির সমস্যা এমনকি মাথা ব্যথার জন্য বাম খুঁজে। সে এর জন্য আদর্শ।'

হেডের এই দুর্বার ছন্দের পেছনে শর্ট বলের বিপক্ষে তার সাফল্যকে নেপথ্যের কারণ হিসেবে দেখছেন শাস্ত্রী, 'আমি মনে করি সে খুব চতুর। তিন বছর আগে আমি যা দেখেছি, সে অনেক উন্নতি করেছে। বিশেষ করে যেভাবে সে শর্ট বল খেলে। সে ভালোভাবে ছেড়ে দেওয়াও শিখেছে।'

শাস্ত্রীর মতে যে ডেলিভারির লাইন এবং দৈর্ঘ্য দ্রুত বিচার করা এবং তার সঙ্গে গিয়ে শট নির্বাচন করার ক্ষমতা তাকে অত্যন্ত সাহায্য করেছে। তিনি বলেন, 'এটি সবসময় একটি বড় শট নয়, যা তার বাহুর নিচে বা অন্য কোথাও কোণাকৃতির একটি শর্ট ডেলিভারি থেকে আসে। সে এটির উপরে গিয়ে বড় শট নেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। এবং যদি এটি মিডল, মিডল এবং অফ থাকে, তাহলে সে এটিকে স্কয়ারের দিকেও মারতে পারে।'

"সে বলের উচ্চতা খুব ভালো বেছে নেয়। এটি তার অন্যতম বড় শক্তি। এবং তার অফসাইডে একটি ঝলমল করা ব্লেড রয়েছে। তাই তাকে আটকানো কঠিন। এবং সে তার জীবনের সেরা ফর্মে রয়েছে।'

চলমান বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজে, হেড ভারতের প্রধান পেসার জাসপ্রিত বুমরাহকে (যার এই সিরিজে ২১ উইকেট রয়েছে গড়ে ১০.৯) মোকাবেলা করেছেন, মাত্র ৯১ বলে ৮৩ রান করেছেন এবং দুইবার আউট হয়েছেন। বাকি অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা বুমরাহের বিপক্ষে সংগ্রাম করেছে।

শাস্ত্রীর মতে, বুমরাহের বিপক্ষে হেডের একটি ইনিংসের শুরুতে খেলা একটি নির্দিষ্ট শট তাকে বিশ্বাস করিয়েছিল যে হেড দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। শাস্ত্রী স্মরণ করে বলেন, 'আমরা সবাই জানতাম সে বিপজ্জনক, কিন্তু জাসপ্রিত বুমরাহের বিপক্ষে সে প্রথম শট খেলেছিল, সেই কভার ড্রাইভ, ফ্রন্ট ফুট থেকে। এটি অনেকভাবেই কিছুটা উপরে ছিল, একটি একটি ভালো ডেলিভারি। এটি আমাকে জানান দিয়েছিলো যে এই খেলোয়াড় দারুণ ফর্মে রয়েছে।'

শাস্ত্রী আরও যোগ করেছেন যে ব্যাটসম্যানের স্পষ্ট মনোভাব তার ব্যাটিংয়ে সহায়তা করেছে, 'সে ঠিক তাই দেখিয়েছিল। এবং তার সঙ্গে যা আছে তা হল কোনো, তার মনোভাব খুব স্পষ্ট। কোনো দ্বিধা নেই। সে পরিস্থিতির ব্যাপারে খুব স্পষ্ট। এটিই তার শক্তি।"

'সে বুঝিয়ে দিয়েছে, "আমি এই ধরনের ক্রিকেট খেলব। হ্যাঁ, আমি খেলার অবস্থা দেখব। আমি চতুর্থ গিয়ার থেকে তৃতীয় গিয়ারে স্থানান্তরিত হতে পারি।'"

Comments

The Daily Star  | English

No one too poor to dream, no dream too big to achieve: Yunus

He says in his keynote speech at Earthna Summit 2025 in Doha

15m ago