টি-টোয়েন্টিতে অনন্য কীর্তি, বল করলেন ১১ জনই

ছবি: এএফপি

স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এর আগে কোনো দলের সর্বোচ্চ নয় জনের বোলিংয়ের নজির ছিল। এক-দুবার নয়, ৩২ বার দেখা গেছে এমন ঘটনা। সেসব পেছনে ফেলে সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফিতে দিল্লি গড়ল অনন্য ইতিহাস। মনিপুরের বিপক্ষে তাদের একাদশে থাকা সবাই হাত ঘোরালেন!

শুক্রবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে তৈরি হয়েছে নতুন ইতিহাস। দিল্লির ১১ ক্রিকেটারের প্রত্যেকে বল করেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এমন কিছু এখনও দেখা যায়নি, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ঘটল প্রথমবার। দুর্বল প্রতিপক্ষ পেয়েই হয়তো এমন সিদ্ধান্তের পথে হাঁটেন দলটির অধিনায়ক আয়ুশ বাদোনি।

দিল্লির ১১ জনের কেউই চার ওভারের কোটা পূরণ করেননি। সর্বোচ্চ তিন ওভার করে বল করেন তিনজন। সমান সংখ্যক খেলোয়াড় দুই ওভার করে হাত ঘোরান। বাকি পাঁচজন এক ওভার করে আক্রমণে ব্যবহার করা হয়। দলটির দলনেতা বাদোনি মূলত উইকেটরক্ষক। তিনিও দুই ওভার বল করে ৮ রান খরচায় নেন ১ উইকেট। তার দ্বিতীয় ওভারটি ছিল আবার মেডেন।

দিল্লির নিয়মিত-অনিয়মিত বোলারদের তোপে শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকা মনিপুর ৪১ রানে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। শেষমেশ তারা পৌঁছাতে পারে ৮ উইকেটে ১২০ রানের মামুলি পুঁজি পর্যন্ত।

চারজন অভিষিক্ত খেলোয়াড়সহ অনভিজ্ঞ একাদশ নিয়ে খেলতে নামা দিল্লিকে জেতার জন্য ভালোই সংগ্রাম করতে হয়। ৯ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে তারা। ওপেনার ইয়াশ ধুল খেলেন ৫১ বলে অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংস। মূলত তার কল্যাণেই শেষ হাসি হাসে দিল্লি। কারণ এক পর্যায়ে ৪৪ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়েছিল তারা।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh transition from autocracy to democracy

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

11h ago