সুপ্তার ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশের রেকর্ড পুঁজি

Sharmin Supta
ঝড়ো ইনিংসের পথে শারমিন সুপ্তা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ফ্রেয়া সারজেন্টের ঝুলানো বল মিড অফের উপর দিয়ে উড়াতে গিয়েছিলেন শারমিন আক্তার সুপ্তা, কিন্তু পারেননি। দুর্দান্ত ব্যাট করে সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও ডানহাতি ব্যাটার ফিরলেন আক্ষেপ নিয়ে। তবে তার ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশ ঠিকই পেয়ে গেল আড়াইশ ছাড়ানো পুঁজি।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটে  ২৫২  রান করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটাই বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ পুঁজির রেকর্ড। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২৫০ রান করার নজির ছিলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।

দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে ৮৯ বলে ১৪ চারে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন সুপ্তা। একটা সময় মনে হচ্ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের মেয়েদের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি কেবল সময়ের ব্যাপার। সেটা হলো না মাত্র ৪ রানের জন্য। তবে ১৬ মাস পরে দলে ফিরে সুপ্তা দিলেন সামর্থ্যের প্রমাণ।

টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে মন্থর শুরু পায় বাংলাদেশ। মুরশিদা খাতুন ও ফারজানা হক পিংকি মিলে উইকেটে থিতু হওয়ার দিকে মন দেন। প্রথম ১০ ওভারে ৪৫টি ডট বল খেলেন তারা।  ১৯তম ওভারে গিয়ে পড়ে প্রথম উইকেট। ৬১ বলে ৩৮ করে মুরশিদা যখন আউট হন তখন দলের সংগ্রহ ৫৯।

এরপর তিনে নেমে রানের চাকা সচল করতে থাকেন সুপ্তা। আরেক পাশে ফারজানা ছিলেন ধীরলয়ে। প্রায় একশো বল খেলে ফিফটি পেরুনো ব্যাটার আউট হন ৬১ রান করে। ১১০ বলে মারেন ৪টা বাউন্ডারি।

ফারজানার বিদায়ের পর রানের গতি বাড়ে। সুপ্তার সঙ্গে মিলে রানে-বলে খেলতে থাকেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। দুজনের ৬১ রানের জুটি ভাঙে জ্যোতি ২৮ বলে ২৮ করে ফিরলে।

উইকেটের চারপাশে দারুণ সব শটের পসরায় ফিফটি পেরিয়ে সেঞ্চুরির দিকে ছুটছিলেন সুপ্তা। নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের তৃতীয় সেঞ্চুরি মনে হচ্ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে এই সেঞ্চুরি হলে তা হতো দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড।

কিন্তু ৪৯তম ওভারে খেই হারান সুপ্তা। কিছুটা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন এই ব্যাটার। দ্রুত রান আনার তাগদাও ছিলো স্লগ ওভারে। ফ্রেয়ার বলটা তাই পার করতে পারেনি মিড অফের ফিল্ডারকে। তার বিদায়ের পর স্বর্ণা আক্তার-সোবহানা মুশতারি মিলে আড়াইশ পার করান দলকে। মিরপুরের উইকেটে এই পুঁজি নিয়ে ভালোভাবেই ম্যাচ জেতার কথা বাংলাদেশের।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago