চট্টগ্রাম টেস্ট

দক্ষিণ আফ্রিকার রান বাড়ছে, বাংলাদেশের বাড়ছে হতাশা

Wiaan Mulder
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

সকালের প্রথম ঘণ্টার পর লাঞ্চের আগে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম। তবে লাঞ্চের পর ফের হতাশার সময়। টনি ডি জর্জি, ডেভিড বেডিংহ্যামদের থামানো গেলেও দাঁড়িয়ে গেলেন ভিয়ান মুল্ডার, সেনুরান মুতুসামিরা। ওয়ানডে গতিতে রান এনে বাংলাদেশকে চরম ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে এসেছে  ১১৪ রান, উইকেট পড়েছে স্রেফ একটি। ৬ উইকেটে ৫২৭ রান তুলে চা-বিরতিতে গেছে সফরকারী দল। মুল্ডার ৭৮ ও মুতুসামি ৪৭ রানে অপরাজিত আছেন। সপ্তম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করে ফেলেছেন ১০৪ রান। এখন দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণার অপেক্ষাতেই আছে বাংলাদেশ। 

৫ উইকেটে ৪১৩ রান নিয়ে লাঞ্চের পর নেমে রায়ান রিকেলটনের উইকেট দ্রুত হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাঁহাতি ব্যাটার ৪১ বলে ১২ রান করে নাহিদ রানার বলে জমা পড়েন কিপারের গ্লাভসে।

এরপরই আরেকটি বড় জুটি পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা, এবার জুটি গড়েন দুই অলরাউন্ডার ভিয়ান মুল্ডার-সেনুরান মুতুসামি। তাদের জুটিতে রান আসতে থাকে ওয়ানডে গতিতে।

মুল্ডার শুরুতে থিতু হতে সময় নিলেও পরে শুরু করেন ঝড়, মুতুসামি শুরু থেকেই খেলতে থাকেন বলে-রানে তাল মিলিয়ে। এই দুজনের ঝাঁজে চরম হতাশার সময় কাটতে থাকে বাংলাদেশ দলের। পাঁচ উইকেট পাওয়া তাইজুল ইসলামও খুব একটা চাপ রাখতে পারছিলেন না। তিনি একাই অবশ্য বল করেছেন ৫০ ওভারের বেশি।

বাংলাদেশকে ভুগতে হয় কারণ ভীষণ বিবর্ণ দেখাচ্ছিল মেহেদী হাসান মিরাজকে। একজন বিশেষজ্ঞ বোলারের ঘাটতি টের পাওয়া যায় প্রবলভাবে। মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়েও বল করিয়ে ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করেন অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

দক্ষিণ আফ্রিকান রান পাওয়া ব্যাটাররা প্রত্যেকেই ছক্কা মেরেছেন। এরমধ্যে পুরো ইনিংসে এসে গেছে ১৬ ছক্কা। ২২ ছক্কা মারলে রেকর্ডই গড়ে ফেলবে তারা। মুল্ডার তার ৭৮ রানের ইনিংসে মেরেছেন ৩ ছয়, ৪৭ রান করতে ২ ছয় মেরে ফেলেছেন মুতুসামি। 

Comments

The Daily Star  | English

Fire service & civil defence: High-risk job, low pay

Despite risking their lives constantly in the line of duty, firefighters are deprived of the pay enjoyed by employees of other departments, an analysis of their organograms shows.

7h ago