রাচিনের শেকড়ের কাছে ফেরার টেস্ট 

rachin ravindra

রাচিন রবীন্দ্রের বাবা রবি কৃষ্ণমূর্তি জন্মেছিলেন বেঙ্গালুরুতে, বেড়েও উঠেছিলেন এই শহরে। ১৯৯৭ সালে এই প্রকৌশলী পাড়ি জমান নিউজিল্যান্ডে। সেখানেই জন্ম রাচিনের। সেই রাচিন নিজের শেকড়ের শহরে ফিরলেন ভারতের প্রতিপক্ষ হয়ে। তাতে অন্যরকম রোমাঞ্চে ভাসছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার। 

ভারতে এর আগেও বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন রাচিন, গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলেছেন বেঙ্গালুরুতেও। তবে বেঙ্গালুরুতে ভারতের বিপক্ষে খেলা হয়নি। 

বুধবার থেকে বেঙ্গালুরুতে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে নামবে ভারত-নিউজিল্যান্ড। ম্যাচে কিউদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য রাচিন। তিনি আছেন অন্যরকম আবেগের দোলায়। এই শহরে এখনো বাস করেন তার অনেক আত্মীয় স্বজন। তাদের অনেকেও থাকবেন গ্যালারিতে। 

ভারত সমর্থনের পাশাপাশি রাচিনের প্রতি আলাদা করে সমর্থন তাদের মধ্যেও তৈরি করবে অন্যরকম আবহ। এই টেস্টের আগে তাই শেকড়ের সংযোগ নিয়ে রোমাঞ্চিত রাচিন, 'আমি আমার ভারতীয় শেকড় নিয়ে গর্বিত। যেখানে পরিবারের অনেক সদস্য থাকবে সেখানে খেলা বিশেষ কিছু।' 

২০২১ সালে কানপুরে ভারতের বিপক্ষেই টেস্ট অভিষেক রাচিনের। তিনি টেস্ট খেলেছেন ওয়াংখেড়েও। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে টপ অর্ডারে ব্যাট করে আলো ছড়ান এই বাঁহাতি, দ্রুত পেয়ে যান তারকা-খ্যাতি। নিউজিল্যান্ড দলের মতন আইপিএলেও নিয়মিত তিনি। 

ভারতে এত ঘন ঘন খেলার মাঝেও বেঙ্গালুরু টেস্ট তাকে দিচ্ছে আলাদা অনুভূতি। একে তো টেস্ট, তার ভেতর আমার স্বজনদের সামনে খেলা মিলিয়ে রোমাঞ্চিত তিনি, 'টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে চূড়া। পারিবারিক সংযোগের কারণে এখানে খেলাটা বাড়তি অর্থবহন। বাবা এখানে বসে খেলা দেখবেন।'

'আপনি জানেন ভারতের মানুষরা খেলা নিয়ে কতটা পাগল। বিশাল হাইপ তৈরি হয় খেলা নিয়ে। তিন ম্যাচের সিরিজেও তেমন আবহ থাকবে।' 

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ১০ ম্যাচে ৫৭৮ রান করা রাচিন গত আইপিএলে ২২২ রান করেন ১৬০ স্ট্রাইকরেটে। টেস্টেও কিউইদের অপরিহার্য সদস্য হয়ে যাওয়া এই ক্রিকেটার নিজের শেকড়ের শহরে কী করেন দেখার অপেক্ষা। 
 

Comments

The Daily Star  | English

Power, Energy Sector: Arrears, subsidies weighing down govt

The interim government is struggling to pay the power bill arrears that were caused largely by “unfair” contracts signed between the previous administration and power producers, and rising international fuel prices.

6h ago